দুই শিক্ষার্থীকে গলা কাটার জন্য নদীর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়

0
373

খুলনাটাইমস অনলাইন ডেস্কঃনারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে দুর্বৃত্ত কর্তৃক দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে চাঁদপুরের ওই দুই শিক্ষার্থী। বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) কাঁচপুর শীতলক্ষ্যার তীরে তাদের হত্যার চেষ্টা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। সিদ্ধিরগঞ্জে আনসার ভিডিপি’র দুই সদস্যের কল্যাণে জীবন ফিরে পেয়েছে চাদপুরের ১০ম শ্রেণির ছাত্র পারভেজ ও ৭ম শ্রেণির ছাত্র শাকিব।তাদেরকে চাঁদপুরের কচুয়া সাচার স্কুলের কাছ থেকে অপহরণ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। তারা দুজনই এই স্কুলের শিক্ষার্থী। পারভেজ চাঁদপুর জেলার কচুয়ার মঙ্গলমোড়া গ্রামের আব্দুল রহিমের ছেলে এবং শাকিব একই গ্রামের আলমগীর হোনেনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর সেতুর নিচে আনসার ভিডিপির দুই সদস্য আল মামুন ও জহিরুল ইসলাম টহল দিচ্ছিলেন। এসময় তারা দুজনই একটি পিকআপ ভ্যান দেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের দেখে পিকআপ ভ্যানটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তারা দুজন দৌঁড়ে গিয়ে পিকআপ ভ্যানটি থামানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাঁদের দিকে ধারালো অস্ত্র ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।আনসার ভিডিপ’র সদস্য আল মামুন ও জহিরুল ইসলাম জানান, দুর্বত্তরা আগেই শাকিব নামের একজনকে নিচে নামিয়ে জবাই করার চেষ্টা চালাচ্ছিলো। অপর শিক্ষার্থী গাড়িতেই ছিলো। এ অবস্থায় আমরা এগিয়ে গেলে গাড়িটি পালিয়ে যাওয়ার সময় অপর শিক্ষার্থীকে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে যায়।

এদিকে ওই দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে কাঁচপুর ব্রিজ ক্যাম্পে পরে সেখান থেকে ক্যাম্প ইনচার্জ ওমর ফারুক তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আনসার ভিডিপি’র কার্যালয়ে (হাজিগঞ্জ) নিয়ে আসেন। পরে তাদের অভিভাবকদের খবর দিলে চাঁদপুর থেকে শাকিবের মা সাফিয়া বেগম ও পারভেজের বাবা আব্দুল রহিম আনসার ভিডিপি’র কার্যালয়ে ছুটে আসেন।

শিক্ষার্থী পারভেজ জানায়, শাকিব আর সে তাদের স্কুল কচুয়া সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে কাছেই ছিলো। এসময় কয়েকজন লোক এসে বলে, ম্যানেজিং কমিটির লোক যেতে বলছে। এরপরপরই তারা আমাকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে গাড়িতে ওঠিয়ে নেয়। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে আমাদের নিয়ে ঘুরে রাতে এখানে এনে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তারা প্রথমে শাকিবকে নামিয়ে জবাই করার চেষ্টা চালায়। অপহরণকারীরা তাঁকে দিয়ে তাঁর মামার কাছে ফোন করিয়ে ‘গাজিপুর আছি’ বলতে বাধ্য করায়। তারা আমার গলা কাটার জন্য নদীর পাড়ে নামাইছিলো।

এদিকে সাহসিকতার জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে আনসার সদস্য আল মামুন ও জহিরুল ইসলামকে জেলা কমান্ড্যান্ট মো. নূরুল আবছার নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করেন। এবং উদ্ধারকৃত দুই শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।