দুই-একটি ভালো জুটির প্রত্যাশায় সোহান

0
399

স্পোর্টস ডেস্কঃ

অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান।

প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। প্রমাণ করেছেন দুরূহ উইকেটে চাইলেই ক্যারিবীয় শক্তিশালী আক্রমণের বিপক্ষে ব্যাটিং করা সম্ভব। শুধু ব্যাটিং নয়, ২২ গজের ক্রিজে দাপট দেখানো সম্ভব।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ৪৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। ৫০ তুলতেই যায় আরো ১ উইকেট। সেখান থেকে সোহানের ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে তোলে ১৪৪ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতার টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে সোহান ও রুবেল নবম উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েন।

তাদের দৃঢ়তায় কিছুটা হলেও মান রক্ষা হয়েছে। নয়ত শতরানের আগে দুই ইনিংসে অলআউট হওয়ার লজ্জা পেত বাংলাদেশ। ১২ জুলাই জ্যামাইকায় শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্টেও একই আক্রমণের শিকার হতে হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ কি দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান সোহানের বিশ্বাস, দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দল। সেটাও ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায়। ব্যর্থতা ভুলে দুই-একটি ভালো জুটি হলেই স্বরূপে ফিরবে বাংলাদেশ। জ্যামাইকায় সোহান বলেছেন, ‘আমাদের শেষ টেস্ট অনেক খারাপ গিয়েছে। ইনশাল্লাহ আমরা এখান থেকে ইতিবাচক বিষয় নিয়ে পরবর্তী টেস্টে দল হিসেবে ভালো করার চেষ্টা অবশ্যই করব। আমরা ব্যাটসম্যানরা যে ভুলগুলো করছি, পরবর্তী ম্যাচে এই ভুলগুলো যেন না করি। চেষ্টা করব এই ভুলগুলো শুধরে ভালো কিছু করার।’

‘দুই-একটি ভালো জুটি যদি হয়, তাহলে পুরো খেলার দৃশ্যপট অন্যরকম হয়ে যাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে, ব্যাটিংয়ে যেন আমরা ভালো জুটিগুলো করতে পারি। শেষ টেস্টে প্রথম ইনিংস আমাদের অনেক খারাপ হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা ব্যাকফুটে ছিলাম। পরবর্তীতে কিছুটা হলেও ফিরে এসেছিলাম। ম্যাচে যেটুকু ব্যাটিং করেছি, হয়ত কিছু বল খেলেছি, এখান থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে খেলার চেষ্টা করব’ -যোগ করেন সোহান।

কোনো দল যদি পরপর দুই ইনিংসে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ধারণার থেকেও খারাপ পারফরম্যান্স ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটিংয়ের স্বাভাবিক তত্ত্বগুলোও মনে হয় ভুলতে বসেছেন ব্যাটসম্যানরা! ব্যাটের সঙ্গে নেই পায়ের কোনো সংযোগ, বলের গতি ও বাউন্স বোঝার ক্ষমতা নেই, নেই থিতু হয়ে থাকার ধৈর্য্য, আত্মবিশ্বাসও তলানিতে। দুর্বল শট নির্বাচন আর মনোযোগের ঘাটতি সব মিলিয়ে পাস নম্বরও বহুদূরে। প্রায় দেড় মাসের সফর শুরু হয়েছে এমন বিভীষিকাময় পারফরম্যান্স দিয়ে।

বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে টিম মিটিংয়ে হয়েছে বিস্তর আলোচনা। হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের ফিরে পাওয়ার লড়াই করছে টাইগার শিবির। সোহানের বিশ্বাস, বাজে সময় কাটিয়ে আলোর মুখ দেখবে বাংলাদেশ। সেজন্য দুই-একটি ভালো জুটির প্রত্যাশায় সোহান।