দীর্ঘ ৯ বছর পর নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করল মোংলা পুলিশ

0
1034

মাহমুদ হাসান : পুরোনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করল মোংলা থানা পুলিশ। এর আগে থানার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ডের পরিত্যক্ত হাসাপাতাল ভবনটি ভাড়া নিয়ে মোংলা থানা পুলিশের কার্যক্রম চলছিল। অবশেষে দীর্ঘ বছর নিজস্ব ভবন পেয়ে মোংলা পুলিশ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে। নতুন ভবন পেয়ে পুলিশের সকল সদস্য অনুপ্রাণিত। পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য, আমরা এখন আরো পূর্নাঙ্গভাবে জনসাধারণকে সেবা দিতে পারব, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে পারব। গত ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে নিজস্ব ভবনে থানার সকল কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে নতুন থানা ভবনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন থানা ভবনে আসার পর থেকে নতুন উদ্যমে পুলিশের কাজ চলছে। পুলিশের সকল সদস্য অনুপ্রাণিত। আধুনিক সুবিধা সংবলিত পাঁচতলা এ ভবনে কনফারেন্স কক্ষ, প্রার্থনা কক্ষ, খাবার কক্ষ, শিশু বান্ধব কক্ষসহ প্রত্যেক ষ্টাফের বসার পৃথক কক্ষ আছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীর জন্যে আলাদা হাজতখানা রয়েছে। বৃহৎ অস্ত্রাগার ও মালখানাও রয়েছে। এছাড়া ব্যাচেলর ষ্টাফদের জন্যে থাকার চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে। নারী কনষ্টেবলদের জন্যেও আলাদা ব্যারাক রয়েছে। পাঁচতলা ভবনের নীচতলা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবেও ব্যবহার করা হবে। এই ভবনের সাথে মোংলা থানা পুলিশ একটি নতুন গাড়ী ও ভবনের সব কক্ষের জন্যে ফার্নিচার (আসবাবপত্র)ও পেয়েছে। পুলিশ সদস্যরা জানায়, আমরা এখন আরো পূর্নাঙ্গভাবে জনসাধারণকে সেবা দিতে পারব, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে পারব।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধূরী বলেন, ২০১৪ সালে ৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরে মোংলা নদীর পাশে পাঁচতলা একটি আধুনিক ভবনের কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এ ভবনের কাজ শেষ হয়। গত ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর রোববার দুপুরে নতুন ভবনে পুলিশের সকল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানান্তর উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মোংলা-রামপালের সাবেক সাংসদ তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় তিনি বলেন, নতুন ভবনে মোংলা থানা পুলিশের জন্যে সকল সুবিধা রাখা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আশা করবো মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত মোংলা গড়তে পুলিশ যেন যথাযথ ভূমিকা রাখে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোংলা-রামপালের সাংসদ হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ কুমার রায়, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব এইচ এম দুলাল, উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মোংলা থানা পুলিশের সকল সদস্য।