দারুণভাবে ফিরে এসে টটেনহ্যামের জয়

0
291

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয় নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে টটেনহ্যাম। ঘরের মাঠে নিজের প্রথম দায়িত্বে স্পার্স বস হোসে মরিনহো আরো একবার প্রমান করলেন কোচ হিসেবে এখনো তিনি অনন্য। লন্ডনের টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে পর্তুগীজ মরিনহো ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিটেই এরিক ডায়ারের পরিবর্তে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে মাঠে নামিয়েছিলেন। এই সময়ে মধ্যে ইউসেফ এল আরাবি ও রুবেন সেমেডোর গোলে পিছিয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। বিরতির ঠিক আগে ডেলে আলি রক্ষনভাগের ভয়ানক এক ভুল স্পার্স শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে হ্যারি কেনের দুই গোলের সাথে সার্জি অরিয়ারের দারুন এক গোলে শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয় নিশ্চিত হয়েছে মরিনহোর শিষ্যদের। ম্যাচ শেষে মরিনহো বলেছেন, ‘দারুন অনুভুতি। বিশেষ করে এটা এমন একটি ম্যাচ ছিল যেখানে আমার অনেক কিছুই করার ছিল। কিছু কিছু ম্যাচ শুরুর আগেই খেলে ফেলতে হয়। দল প্রস্তুত করা, তাদেরকে অনুশীলন করানো এরপর মাঠে নেমে খেলা, সবকিছুই একটা নির্দিষ্ট ছকে বাঁধা থাকে। ম্যাচের সময় হয়তবা অনেক সময় কোচের তেমন কোন ভূমিকা থাকেনা। আবার কিছু ম্যাচে কোচকেই সব কিছু করতে হয়। এরিকের সাথে আমার কোন খারাপা সম্পর্ক নেই। তবে ম্যাচের প্রয়োজনে আমার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’ এই নিয়ে টানা তৃতীয় মৌসুমে নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো গত বছরের ফাইনালিস্টরা। তবে গ্রুপ-বি’তে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের পিছনে তাদের দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। রেড স্টার বেলগ্রেডকে গতকাল বায়ার্ন দিনের আরেক ম্যাচে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। মরিনহোর অধীনে প্রথম দুই ম্যাচে এই নিয়ে সাত গোল করলো টটেনহ্যাম। চেলসির সাবেক এই কোচের রক্ষনশীল স্টাইল অনেকের কাছেই সমালোচিত হয়েছিল। তবে কালকের ম্যাচে সমর্থকরা মরিনহোর প্রশংসা করতে ভুল করেননি। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিট পুরোপুরি রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছিলেন মরিনহো। কিন্তু তারপরেও দুই গোল হজম করতে হয়েছে। ৬ মিনিটে এল আরাবি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে পোস্টে শট নিতে যথেষ্ট জায়গা পেয়েছেন। ১৯ মিনিটে সেমেডো ব্যবধান দ্বিগুন করলে মরিনহো তার কৌশল পরিবর্তনে বাধ্য হন। ডায়ারের পরিবর্তে এরিকসেনকে নামানোর পিছনেও এই কৌশলই কাজ করেছে। ম্যাচ শেষে ডেলে আলি বলেছেন, প্রথম ২০ মিনিটে আমাদের যে কেউকে বদলী বেঞ্চে আসতে হতো। বদলীর সিদ্ধান্ত কাজে এসেছে, এতেই আমরা খুশী। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে কার্যত টটেনহ্যামকে গোল উপহার দিয়েছে অলিম্পিয়াকোস। অরিয়ারের লো ক্রস থেকে ইয়াসিন মেরিয়াহ সহজেই বলটি ক্লিয়ার করতে পারতেন। কিন্তু তার বাম পায়ের নীচ দিয়ে বলটি বের হয়ে আলির কাছে গেলে কোন ভুল করেননি এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। বিরতির পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে লুকাস মৌরার ডান দিকের ক্রসে কেন ম্যাচে সমতা ফেরান। ৭৩ মিনিটে সং হেয়াং-মিনের সহযোগিতায় প্রথমবারের মত স্পার্সদের এগিয়ে দেন অরিয়ার। চার মিনিট পর কেন নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করলে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টটেনহ্যাম। মৌসুমে এটি ছিল ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে কেনের ২৩তম গোল।