দাকোপে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

0
780

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস :
খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া এসএন কলেজ মাঠে গরু চরানোর জেরে বাড়িতে গিয়ে নীল উৎপল রপ্তান (২৮) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে পেটে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমরান হোসেন ইমন শেখ (২০) নামের এক যুবককে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করে এলাকাবাসি। পরে হাসপাতালে হত্যাকারী ইমনের মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (৯ জুন) সকাল আটটার দিকে উপজেলার বাজুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টার দিকে বাজুয়া গ্রাম থেকে নীল উৎপলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ (এসএন) ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল রায় জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিহত নীল উৎপল রপ্তানের বাবা কলেজের সহকারি লাইব্রেরীয়ান সুকুমার রপ্তানকে কলেজ দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ সুকুমার কলেজ চত্বরে দায়িত্ব পালন করার সময় হত্যাকারী ইমরান হোসেন ইমন শেখের বাবা বাদল শেখ কলেজ ভবনের বারান্দার মধ্যদিয়ে গরু নিয়ে আসলে কলেজের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় মাঠে গরু চরাতে নিষেধ করে সুকুমার। এতেই ইমনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বাকবিতণ্ডায়।

প্রত্যক্ষদর্শীর সুত্রে জানা যায়, সোমবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ইমন শেখ সুকুমারের বাড়িতে আসে। এসময় তার ছেলে নীল উৎপলকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তর্কবিতর্ক শুরুর একপর্যায়ে নীল উৎপলের পেটে ছুরিকাঘাত করে ইমন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে এলাকাবাসি ইমনকে আটক করে বেধড়ক মারপিট করে।

থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল থেকে গণপিটুনীতে গুরুতর আহত ইমন শেখকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফউদ্দীন আহম্মেদ ইমনের মৃত্যু নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, পুলিশ বেলা ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে খুলনাটাইমসকে বলেন, কলেজ মাঠে গরু চরানোর জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নীল উৎপলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় তাঁর পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণপিটুনীতে নিহত যুবক ইমনকেও ময়নাদন্তের জন্য মর্গে পাঠনো হচ্ছে।