দস্যু আত্মসমর্পণে আবারও সুন্দরবনে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান

0
773

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র‌্যাব ও সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে আবার সুন্দরবনে গেলেন খুলনার সেই তরুণ সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান। বুধবার (৬ জুন) আরও এক দস্যু বাহিনীকে আত্মসমর্পণে রাজি করাতে পেরেছেন বলে খুলনাটাইমসকে জানিয়েছেন তিনি। সোহাগ ঢাকাটাইমসের খুলনা প্রতিনিধি ও স্থানীয় এক দৈনিক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক।

এর আগে সোহাগ দেওয়ানের মধ্যস্থতায় গত ২৩ মে আত্মসমর্পণ করেন সুন্দরবনের ছয় বনদস্যু ও জলদস্যু বাহিনীর ৫৭ জন সদস্য। সেদিন খুলনার লবণচরায় র‌্যাব-৬ কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আত্মসমর্পণ করা ওই ৫৭ জন গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুন) জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। স্বাভাবিক জীবনের প্রত্যাশায় বাড়িতে স্বজনদের কাছে ফিরে গেছেন তারা।

এক দিন পর আজ সুন্দরবনের আরও এক দস্যুবাহিনী আত্মসমর্পণের জন্য সম্মত হয়েছে বলে জানান সোহাগ দেওয়ান। সোহাগ দেওয়ানের রয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের দুজন সাংবাদিক।

বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যটাসে সোহাগ লেখেন: ‘আলহামদুলিল্লাহ, সুন্দরবনের দুর্র্ধষ বনদস্যু আনারুল ওরফে দয়াল বাহিনীর সাথে আলোচনা শেষে আজ তার পুরো বাহিনী তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণে রাজি হলো। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র‌্যাব-৬ তথা সরকারকে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত। সাথে আমি আমি সোহাগ দেওয়ান ও নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের আশিকুর শ্রাবণ ও কামেরায় শেখ জালাল।’
এর আগের আত্মসমর্পণ করা ছয় দস্যুবাহিনীর সদস্যরা হলেন, দাদা ভাই বাহিনীর প্রধানসহ ১৫ জন, হান্নান বাহিনীর প্রধানসহ ৯ জন, আমির আলী বাহিনীর প্রধানসহ সাতজন, সূর্য বাহিনীর প্রধানসহ ১০ জন, ছোট সামছু বাহিনীর প্রধানসহ ৯ জন ও মুন্না বাহিনীর প্রধানসহ ৭ জন। তারা ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২৮৪ রাউন্ড গুলি জমা দেন।