নিজস্ব প্রতিবেদক : স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা, বোন, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের চোখের জলে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. নাদিম উল আলম।
গত রবিবার রাত পৌনে ১টায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ….. রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৩৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে, মা-বাবা ও বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নগরীর বাগমারা মেইন রোডের বাসিন্দা আতিয়ার রহমান মোল্লার একমাত্র ছেলে।
তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সকাল থেকে বাসভবনে ছুটে যান খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)’র বিদায়ী সভাপতি ও বাসস’র ব্যুরো প্রধান এস এম জাহিদ হোসেন, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন সম্পাদক এস এম সাহিদ হোসেন, কেইউজে’র সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শমসের আলী মিন্টু, নারীনেত্রী শামীমা সুলতানা শিলু, সাংবাদিক নেতা আসাদুজ্জামান রিয়াজ, টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল দাস, সাংবাদিক জয়নাল ফরাজী, নূর হাসান জনি, রীতা রানী দাস, দিলীপ বর্মন, আনওয়ার আহমেদ মুন, বাপ্পী খান, বাহাউদ্দিন বাহার, হেলাল মোল্লা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সালমা ইয়াসমিনসহ গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মীরা। শেষবারের মতো সদা হাস্যোজ্জ্বল সহকর্মীকে দেখতে এলাকাবাসীর সাথে তারা ভীড় জমান। এসময় তারা চোখের জলে অশ্র“সিক্ত হয়ে পড়েন।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)’র সদস্য নাদিম উল আলম ২০১৫ সাল থেকে দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন এ ‘স্টাফ রিপোর্টার’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক জন্মভূমি ও রাজপথের দাবি পত্রিকায়ও কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি খুলনা বেতারে সুন্দররবন-এর উপর একটি ডকুমেন্টারী অনুষ্ঠানের রিপোর্টার, উপস্থাপক ও পরিচালক। তিনি অনেক মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন শিশুতোষ নাটকের। তিনি অপরাজেয় বাংলা ও রূপান্তর নামের দুটি এনজিও-এর কাজেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করতেন, জাতীয় দৈনিক ডেইলি স্টারের বিভিন্ন ইভেন্ট প্রজেক্টের কাজ করেছেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘খুলনা শিশু মঞ্চ’ নামক এক প্রতিষ্ঠান, যেখানে শিশুদের নিয়ে তিনি শিক্ষামূলক কাজ করতেন।
এদিকে সোমবার বাদ আসর নগরীর বাগমারাস্থ দারুচ্ছালাম জামে মসজিদের সামনে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নামাজে জানাজায় অংশ নেন সুজন’র সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনোয়ারুল কাদির, ইলাক্স’র অধ্যক্ষ এম এ কাইয়ুম, সিটি ‘ল’ কলেজের অধ্যক্ষ ড. এম এ আউয়াল রাজ, কেইউজে’র বিদায়ী সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন সম্পাদক এস এম সাহিদ হোসেন, কেইউজে’র নবনির্বাচিত সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মরহুমের পিতা আতিয়ার রহমান মোল্লা, সাংবাদিক মারুফ হোসেন, এইচ এম আলাউদ্দিন, নাগরিক নেতা কুদরত ই খুদা, নগর যুবলীগ সদস্য ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সাংবাদিক জয়নাল ফরাজী, সোহেল মাহমুদ, আসাফুর রহমান কাজল, আনওয়ার আহমেদ মুন, বাহাউদ্দিন বাহার, আর জি উজ্জ্বল, জুয়েল হাওলাদার, উন্নয়নকর্মী মিজানুর রহমান পান্না, শেখ ইমরান ইমন, আজিজুর রহমান ছবি, মাহবুব আলম প্রিন্স, কবি সৈয়দ আলী হাকিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল কাদের শেখ, ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান রাজেশ প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কৌশিক দে বাপী, মহেন্দ্র নাথ সেন, প্রবীর বিশ্বাস, দেবব্রত রায়, নেয়ামুল হোসেন কচি, অভিজিৎ পাল, বিমল সাহা প্রমুখ। পরে তাকে নিরালা কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার রুহের মাগফিরাত কামনায় আগামী শুক্রবার বাদ আসর বাগমারাস্থ দারুচ্ছালাম জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
কেইউজে’র শোক : সাংবাদিক নাদিম উল আলম এর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি প্রদান করেছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা নবনির্বাচিত সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, বিদায়ী সভাপতি আলহাজ্ব এস এম জাহিদ হোসেন, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য এস এম ফরিদ রানা, কেইউজে’র নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, মহেন্দ্র নাথ সেন, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা প্রমুখ।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন পরিবার : সাংবাদিক নাদিম উল আলম এর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি প্রদান করেছেন দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন সম্পাদক এস এম সাহিদ হোসেন, সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি এস এম জাকির হোসেন, উপদেষ্টা সম্পাদক মারুফ হোসেন, বার্তা সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার জয়নাল ফরাজী, স্টাফ রিপোর্টার শশাঙ্ক স্বর্ণকার, আনওয়ার আহমেদ মুন, চীফ ফটোসাংবাদিক আব্দুল মালেক, ফটোসাংবাদিক বাহাউদ্দিন বাহার-সহ কর্মরত সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
