থানার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বারীক গাজীর অপকর্ম ঢাকতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু

0
533

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি থানার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বারীক গাজীর মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর নিজের অপকর্ম ঢাকতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। নিজেকে একজন আদর্শ ও চরিত্রবান লোক দেখানোর চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। কিন্তু কথায় আছে “কয়লা ধুলে কি ময়লা যায়?” প্রথমে ছিলেন চাল ভানানো মিলের ম্যানেজার, তারপর হলেন জমি জবর দখলকারী, পরবর্তীতে হলেন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক ব্যবসায়ী মহলসহ সর্বত্রে মাদক সম্রাট বারেক গাজী নামে পরিচিত লাভ করেন বারীক গাজী। উপজেলার খরিয়াটি গ্রামের ফজলে রহমান গাজীর পুত্র বারীক গাজী দীর্ঘদিন মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ায় আশাশুনি থানায় আর মাদক ব্যবসা করবে না বলে লিখিত অঙ্গীকার করার পরও গত ৫ নভেম্বর’১৮ তারিখে ৮০পিচ ইয়াবাসহ আশাশুনি থানা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়। তার নামে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়, মামলা নং ১(১১)১৮। এর আগে দেড়শ গ্রাম হিরোইনসহ আশাশুনি থানা পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে কারাবাস শেষে জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে ইয়াবা মামলায় জামিনে জেল থেকে ফিরে এলাকায় আবারও রেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার স্ব-চরিত্রের ঘটনা তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকৃত সংবাদ প্রকাশের পর নিজের অপকর্ম ঢাকতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত এক সংবাদে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম গাজী জানান, তার পিতার নামীয় খরিয়াটি মৌজার ডিপি-৪৮৭, হাল-১৩৪৬, বর্তমান-২৩৭৬ দাগের ৪১ শতক এবং বারেক গাজী ডিপি-৪৮৬, হাল-১৩৪৭, বর্তমান-২৩৪৮ দাগের ৪ শতক মোট ৪৬ শতক ভিটে বাড়ির জমিটি ঘেরা বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছিলো। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে ৫ শতক জমির উপর একটি ধান ভাঙানো মিল ছিলো যা ততকালিন কর্মচারী বারীক গাজীর উপর দেখা শোনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। কিছু দিন পরে মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উক্ত সম্পত্তি দেখা শুনা করার জন্য বারীক গাজী সেখানে থাকতে শুরু করে। কিন্তু গত ইং ৮ এপ্রিল’১৯ তারিখে কয়েকটি পত্রিকায় বারীক গাজী সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, তার ৫২শতক জমি আব্দুস সালাম গাজী জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে দরগাপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান জমীর উদ্দীন গাজী এবং জেলা তাঁতীলীগ নেতা আছাফুর রহমানের বক্তব্য তুলে ধরলেও মুঠোফেনে তারা এ প্রতিবেদককে জানান, বারীক গাজীর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আমাদের দুজনের কেউই উপস্থিত ছিলাম না। বিষয় সংবাদ সম্মেলনে তাদের অনুমতি ছাড়া বক্তব্য প্রদান করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান জমীর উদ্দীন গাজী ও জেলা তাঁতীলীগ নেতা আছাফুর রহমান। সরেজমিনে কাগজ পত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নালিশি উক্ত সম্পত্তির বৈধ মালিকই আব্দুস সালাম গাজী। নালিশি সম্পত্রি কোন বৈধ কাগজ পত্র বারিক গাজী আজও দেখাতে সক্ষম হয়নি। দীর্ঘদিন সিভিলে মামলা চলার পর গত ২০১৫ সালে আব্দুস সালামের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। খরিয়াটি গ্রামের একাধিক ব্যক্তির বক্তব্য, একজন চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী কিভাবে কোন কাগজ পত্র ছাড়া জোর পূর্বক অন্যের ভিটেবাড়ির সম্পত্তি জবর দখল করতে পারে? এমতাবস্থায় গ্রামের শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির বিরোধ সমাধানে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।