তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছোঁয়া হত্যার খুনীদের শাস্তির দাবিতে দৌলতপুরে ফের মানববন্ধন

0
288

টাইমস প্রতিবেদক:
তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিশু অঙ্কিতা দে ছোঁয়া হত্যাকান্ডের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয় দফায় খুলনা নগরীর নতুন রাস্তা মোড় এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকাল ৪ টায় বিশাল জনসমাগমে এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনটি পাবলা বনিক পাড়া দৌলতপুর এলাকা থেকে নতুন রাস্তা ঘুরে পাবলা কালীমন্দির এসে সমাপ্ত হয়।
নিহত অঙ্কিতা ৫নং ওয়ার্ডস্থ বনিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত দে’র কন্যা। সরকারি বীণাপানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অংঙ্কিতা দে ছোয়ার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিত্বে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনটি সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম অপু। পরিচালনা করেন নজরুল ইসলাম নবী।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী টিপু, বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গির আলম, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল মিলন, দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন, দৌলতপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান কামাল।
বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন সেলিম শিকদার, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহিদা বেগম, দৌলতপুর থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি আশুতোষ সাধু, সাধারণ সম্পাদক বলোরাম দত্ত, পিলু মুলি, প্রকাশ চন্দ্র অধিকারী, প্রসাদ সাহা কালু, নগর মহিলা আ’লীগ নেত্রী জেসমিন সুলতানা, ৬ নং ওয়ার্ড মহিলা আলীগ সাধারণ সম্পাদক বিনু ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা সুমন, জাবেদ ইকবাল রনি, মো. নাজমুল, হাফিজ, সৈকত, মো. মিঠু, মিরাজ, আতিক, হাসিব, আরমান, নাসির মল্লিক, সুমন দাস, শেখ জিহাদ সহ আলীগ ও তার অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় বক্তারা বলেন মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। এলাকা ভিত্তিক গ্রুপ তৈরি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে তরুন যুবকরা। দৌলতপুর থানাধীন এলাকায় যে সকল স্থানে মাদক ব্যবসা চলছে তা বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে অংকিতা দে ছোঁয়া হত্যার বিষয়টি দ্রæত বিচার আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে গত ২৩ শে জানুয়ারি শিশুটি নিখোঁজ হয়। ২৮ তারিখ তার বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এবং ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে পাশবিক নির্যাতনের পরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানান।এবংসকল আলামত সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের ভিত্তিতে প্রধান আসামি প্রীতম দে রুদ্রকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।