তালিকাভূক্তির পরও ১১ মাস ভিজিডির চাল পাচ্ছেননা হরিঢালীর ৫ অসহায় মহিলা

0
389

শেখ নাদীর শাহ্,কপিলমুনি:
পাইকগাছার হরিঢালী ইউনয়নের ভিজিডি তালিকাভুক্ত দলিতসহ ৫ জন অসহায় মহিলা দীর্ঘ ১১ মাস ধরে চাল বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হরিঢালীর ১ নং ওয়ার্ড দেয়াড়া,উলুডাঙ্গা ও রহিমপুর গ্রামের এমন ঘটনায় এলাকায় রীতিমত নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
তবে ঠিক কি কারণে এই ৫ জন মহিলা তালিকাভূক্ত হয়েও ভিজিডির আওতায় সুবিধা পাচ্ছেন না তার কোন উত্তর মিলছে না সংশ্লিষ্টদের কাছেও। তবে তাদের বরাদ্দকৃত ১১ মাসের চালগুলো যাচ্ছে কোথায়? তা নিয়েও এলাকাবাসীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারের ভূমিকা নিয়েও কথা উঠেছে।
এঘটনায় গত ১১ নভেম্বর পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ভিজিডি সুবিধা বঞ্চিত তালিকাভূক্ত ৫জন মহিলা হরিঢালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রহিমপুর/দেয়াড়া/উলুডাঙ্গা ফকিরপাড়ার মনোয়ারা বেগম, একই ওয়ার্ডের দে পাড়ার শিউলী রানী দে, দাশ পাড়ার টুম্পা দাশ, বিশ্বাস পাড়ার কাগজী দে ও সরদার পাড়ার যমুনা বেগম।
লিখিত অভিযোগে আরো জানাগেছে, উপজেলার ১নং হরিঢালী ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ১নং ওয়ার্ড দেয়াড়া/রহিমপুর / উলুডাঙ্গা গ্রামের ভিজিডি কার্ডের আওতায় দারিদ্র বিমোচনে গত ১৩ ডিসেম্বর/১৮ তারিখে তালিকা চুড়ান্ত করে স্বাক্ষর প্রদান করেন, হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সচিব। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় চুড়ান্ত এ তালিকায় স্বাক্ষর করেন। সে মোতাবেক ঐ ওয়ার্ডে মোট ২১জন সুবিধাভোগীর তালিকা চুড়ান্ত করা হয়।
অথচ দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ উক্ত ৫ পরিবারের মাঝে কোন ভিজিডি চাল দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে গত ১১ নভেম্বর/১৯ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান জানান, চুড়ান্ত তালিকায় নাম থাকলেও অনলাইনে বাদ পড়ার কারণে এমনটি হয়েছে। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলার রেজুলেশানের মাধ্যমে সংশোধন করেন। চুড়ান্ত তালিকার বাইরে রেজুলেশান করে নাম দেওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা চেয়ারম্যান বলতে পারবেন। তিনি বলেন, এখানে আমার কোন বিষয় নেই।
এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সচিব মোঃ সিরাজ উদ্দিন জানান, এমন বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। তবে প্রতিটা ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার থাকা সত্ত্বেও এমনটি কেন হলো তা তিনিও বুঝতে পারছেন না। তবে ইউএনও স্যারের নিকট তারা অভিযোগ করার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিগত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।