তালায় ৯ বছর আগে মৃত মহিলার নামে ভিজিডি কার্ড 

0
224

নিজস্ব প্রতিবেদক, তালা::

তালায় নয় বছর আগে মৃত এক মহিলার নামে ভিজিডি কার্ড বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নে।মৃত ঐ মহিলার নাম রনজিদা বেগম। তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৮৭১৯০৩১৫০৮৫৪১। সে খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটী গ্রামের শামছুদ্দিন মোড়লের স্ত্রী।

তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২অর্থ বছরের ভিজিডি চক্রের কর্মসূচির আওতায় তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নে ২২৩ টি কার্ড বরাদ্দ হয়। বরাদ্ধ মোতাবেক প্রকাশ্যে সভা করে সেই অনুযায়ী ২২৩ টি কার্ডের উপকারভোগীর তালিকা চুড়ান্ত করা হয়। তবে উপকার ভোগীদের তালিকা প্রস্তত’র সময়ে খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইচ্ছামতো তালিকা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছিল । গত ৩১ জানুয়ারী উপকার ভোগীদের মধ্যে চাউলও বিতরণ করা হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, ২০১১ সালে মারা যান রনজিদা বেগম। কিন্তু নয় বছর পরে ভিজিডি চক্রের উপকার ভোগীর তালিকায় ১নং ওয়ার্ডের ১৫ নম্বরে তার নাম রয়েছে। এখানেই শেস নয় প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্ত স্বচ্ছল নলতার ঘোষপাড়ার সাধন ঘোষের স্ত্রী বাসন্তীকে দেওয়া হয়েছে ভিজিডির চক্রের উপকারভোগীর কার্ড।

সম্প্রতি তারা ভিজিডি কার্ডের চাউল উত্তোলন করেছেন বলেও জানাগেছে। এবিষয়ে খলিলনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য আ.স.ম আব্দুর রব এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। উপকার ভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করতে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আছে। পদাধিকার কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সচিব ছাড়াও এই কমিটিতে শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আছেন। তবে রনজিদা বেগম মারা গেছেন বিষয়টি সত্য।

তিনি আরো জানান ,তার ওয়ার্ডের কাটবুনিয়া গ্রামকে ভিজিডির তালিকা থেকে সম্পুর্ণ বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কাওকে ভিজিডির আওতায় আনা হয়নি।

এবিষয়ে খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, মৃত রনজিদার সতিন তথ্য গোপন করে নিজে রনজিদা পরিচয়ে ভিজিডি কার্ডের চাল উত্তোলন করতে এসেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে কার্ডের চাল আটকে রেখে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানানো হয়। তথ্য গোপনকারীর ঐ কার্ডের চাল পরিষদে রক্ষিত আছে। আগামী(৭ফেব্রুয়ারি) রবিবার রেজুলেশান করে মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হবে। আর অপেক্ষমান তালিকা থেকে একজনের নাম দেওয়া হবে এবং পরিষদে রক্ষিত চাল তাকে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারিফ-উল-হাসান জানান, বিষয়টি প্রথম শুনলাম। যদি এমন হয়, তাহলে তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।