তালায় মৎস্য ঘেরের আড়ালে বিভিন্ন অপকর্মের পরিকল্পনা! আতংকিত এলাকাবাসী

0
510

তালা সংবাদদাতা:
দুই উপজেলার তিন ইউনিয়নের ত্রিশ গ্রামের পানি নিস্কাশনের কালভার্ট বন্ধ করে মৎস্য চাষ করায় জলাবদ্ধতার আশংকায় রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ফলে অত্র এলাকার মৎস্য ঘেরের পানির চাপ ও ইচ্ছা খুশিমত রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানোর কারণে গ্রামীন জনপদের বেহাল দশা। এ সংক্রান্ত তথ্য বহুল সংবাদ স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হওয়ায় গাত্রদাহ শুরু হয়েছে ঘের মালিক বহুঅপকর্মের হোতা পলাশ সরদারের। তবে সহকারী কমিশনার(ভুমি) সাতদিনের সময় দিয়ে একটি নোটিশ করেছে। রাস্তাটি সংস্কার হলেও কালভার্ট এর মুখ এখনও বন্ধ রেখে সরকারি রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে বহাল তবিয়াতে চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বিলটির উত্তর পাশে কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ পাশে কুমিরা ও পূর্বপাশে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন। তিন ইউনিয়নের উভয়পাশে সেনপুর, হাসানপুর, খোবদো, মোমিনপুর, তেরছি, লাউতাড়া, আড়ংপাড়া, কলাপোতা, গৌরিপুর, দাদপুর, মির্জাপুর, ধলবাড়িয়াসহ প্রায় ত্রিশটি গ্রামের বর্ষা মৌসুমের পানি সরবরাহের একমাত্র ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে সরকারী সম্পদ নিজের আয়েত্বে এনে কালভার্টের মুখে বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম জলাবদ্ধা তৈরি করেছে অবৈধ মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী বহু অপকর্মের হোতা পলাশ সরদার। এ সক্রান্ত তথ্য বহুল সংবাদ স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রকাশ করলে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে পলাশ সরদারসহ তার সন্ত্রাসী রগকাটা শিবির ক্যাডারবাহিনী ও সাংঘপাংঘরা। এ বিষয়ে সেনপুর গ্রামের আব্বাজ আলী, হাসানপুর গ্রামের এলাহীবক্য্র, আড়ংপাড়া গ্রামের চাঁদআলী গাজী, ইসমাইল গাজী, আনছার আলী গাজী, কলাপোতা গ্রামের রমেশ মন্ডল, তেরছি গ্রামের রফিকুল ইসলামসহ অসংখ্য ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানান বর্তমান সরকার কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জলাবদ্ধতা নিরসন করলেও অসাধু পলাশ সরদারসহ একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ীরা পানি নিস্কাশনের বিলে বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। তারা এতটাই বেপরোয়া যে আড়ংপাড়া থেকে সেনপুর অভিমুখে রাস্তার দুটি কালভার্টের মুখ বেঁধে দিয়েছে। একই সাথে কুমিরা অভিমুখি গৌরিপুর গ্রামের বড় কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে অত্র এলাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় আমন আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসংক্রান্ত বিষয় এসিল্যান্ড অফিস থেকে সংশোধনের জন্য ইতোপূর্বে একটি নোটিশ জারি করেছে। তথ্য অনুসন্ধানে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন কেশবপুর এলাকার বহুল আলোচিত পলাশ সরদারের মৎস্য ঘেরের আড়ালে বহু অপকর্মের পরিকল্পনা করা হয়ে থাকে। যার ফলে গত রমজান মাসে জাতপুর এলাকায় রাতের আধারে বহুবার ছিনতাইসহ অনেক অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে। বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ও বিভিন্ন মামলার আসামীরা পলাশ সরদারের মৎস্য ঘেরে পাহারাদার হিসাবে কর্মরত আছে। এলাকাবাসীর ধারনা এরই ফলশ্রæতিতে গত ৭ জুলাই শনিবার রাতে তেঁতুলিয়ার বিশ্বাস মোড়ে রাত্র সাড়ে তিনটার দিকে একটি সংঘবদ্ধ সস্বস্ত্র ডাকাত দল পিআপ, ট্রাক, ইজ্ঞিনভ্যান, ইজবাইকসহ ৭/৮টি গাড়িতে ডাকাতি করে নগদ প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকা লুটিয়ে নিয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ঠ উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসী সু-বিচার দাবী জানান। এবিষয়ে পলাশ সরদারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, উক্ত বিলে পলাশ সরদার দীর্ঘদিন মাছ চাষ করলেও কালভার্টের মুখ বেঁধে দিয়েছে এটা তার জানা নেই।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পলাশ সরদার কর্তৃক সরকারী কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তার পরিবর্তে জনসাধারণের স্বার্থে ব্যক্তিগত খরচে রাস্তা কেটে বিকল্প পানি নিস্কাশনের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে।
সহকারী কমিশনার(ভুমি) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি শুনেছি এবং তাকে সংশোধনের জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়ে নোটিশ করেছি। সংশোধন না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।