তালায় প্রধান শিক্ষকের দূর্ণীতি-অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

0
371

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
তালায় ৬৫ নং রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দূর্ণীতি স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগে মঙ্গলবার বিকালে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার রায়পুর গ্রামের মৃত মতিলাল মুনির পুত্র দীপক কুমার মুনি।
দীপক কুমার মুনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা অত্র এলাকায় সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে উপজেলার রায়পুর মৌজার জেএল নং- ১৫০, খতিয়ান নং- ১২২, এবং ১৬০ দাগের ৪১ শতক জমির মধ্যে ১৬.৬৬ শতক জমি ৬৫ নং রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকুলে ২৯৬/৬৩ নং দানপত্র দলিলমুলে ০৬/০২/১৯৬৩ সালে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ায় বিদ্যালয়টি গ্রামের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে দানকৃত সম্পত্তি বিদ্যালয়ের নামে রের্কড করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার ১৯৯৫ সাল থেকে বদলীহীন অবস্থায় একই স্থানে কর্মরত থেকে অযতœ অবহেলা এবং কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার মান ক্ষুন্য করছে। তিনি কোমল মতি শিশুদের পাঠদানসহ বিদ্যালয়ে কোন জাতীয় অনুষ্ঠান সঠিক ভাবে পালন করেন না। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতি স্বচেষ্ট না। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়টিতে ল্যাবটপ ও প্রজেক্টর রয়েছে এবং বৈদ্যতিক ব্যবস্থা থাকার স্বত্তে¡ও সেগুলো স্বচল করে ডিজিটাল ক্লাস উপস্থাপনে সম্পুর্ণ ব্যর্থ। প্রধান শিক্ষক সাতক্ষীরা জেলার সাবজজ আদালতের দেওয়ানি ৩৮৪/৯০ নং মামলার বিবাদী শ্রেণীভ’ক্ত হওয়া সত্তে¡ও জবাব প্রদান না করিয়া বাদী পক্ষের যোগ সাজস ও দূর্ণীতির মাধ্যমে একতরফা ডিগ্রী প্রদানের সাহায্য করেছেন। এতে বিদ্যালয়ের স্বত্ত¡স্বার্থ চরমভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। বিদ্যালয়ের জমি মাপপূর্বক সিমানা নির্ধারণ করা হলেও বেদখলীয় প্রায় ৫ শতক জমি বিদ্যালয়ের অনুকুলে দখল আনতে ব্যার্থ হয়েছেন। বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে জনসাধারনের চলার জন্য একটি রাস্তা নির্মান করা হলেও সেটি বন্ধ করে সাধারন মানুষের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টিকরেছেন। রাস্তাটি উন্মুক্ত করার জন্য আমি বিভিন্ন দপ্তরে ও আদালতের স্বরনাপন্ন হই। দুঃখ প্রকাশ করে দীপক কুমারমনি আরও জানান, আদালত বা কোন দপ্তর থেকে প্রধান শিক্ষকের নিকট কোন প্রতিবেদন না চাওয়া স্বত্তে¡ও বিবাদীকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে একটা মনগড়া প্রতিবেদন প্রেরন করেন সে কারনে বিভিন্ন দপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যার ফলে আদালত সমনের মাধ্যমে তাকে আদালতে হাজির করেন। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে বিদ্যালয়ের পিছনে বিদ্যালয়ের জমি থাকার কথা উল্লেখ করলেও অলৌকিক কারনে তা প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অনুকুলে আনতে র্বর্থ হয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে দীপক কুমার মুনি বলেন, এব্যাপারে অভিভাবক সহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেকারনে অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা ৩০/০১/২০১৮ তারিখে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অযোগ্য, দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট বদলীসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং তার বিরুদ্ধে সকল অপকর্মের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান।
এব্যাপারে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জানান, এলাকায় দুইটি গ্রæপ হওয়ার কারনে আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।#