তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার তালায় ফলন্ত পাটক্ষেত নষ্ট করে ফসলি জমির মাটি লরিতে করে ইট ভাটায় বহন করছে হামিদুর রহমান লিটন (৫২)। সে মদনপুর গ্রামের মৃত আকিম উদ্দীন শেখ এর ছেলে।একই গ্রামের উর্দ্ধতন এক পুলিশ কর্তার ভয় দেখিয়ে এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঐ পুলিশ কর্মকর্তার দোহাই দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না কেউ।
অভিযোগে জানাযায়, একই গ্রামের কাদির মাহমুদ এর পুত্র মাহাফুজুর রহমানের চাষকৃত পাট ক্ষেতের উপর দিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করা ফসলি জমির মাটি লরিতে করে বহন করছে অর্ধ ডজন মামলার আসামী হামিদুর রহমান লিটন।এ ঘটনায় পাট ক্ষেতের মালিক মাহাফুজুর রহমান বাঁধা দিলে একই গ্রামের উর্দ্ধতন ঐ পুলিশ কর্তার এর নির্দেশে মাটি কাঁটা হচ্ছে বলে জানান লিটন। এতে বাঁধা দিলে খুব খারাপ হবে বলে হুমকি প্রদান করেন তিনি। তাঁর ভয়তে কোথায় অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছি না পাট ক্ষেতের মালিক। তাই বাধ্য হয়ে সাংবাদিকদের দারাস্থ হয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী মাহাফুজুর রহমান।
সরেজমিন গেলে ভুক্তভোগী মাহাফুজুর রহমানসহ এলাকাবাসি জানায়, হামিদুর রহমান লিটন অর্ধ ডজন মামলার আসামী।নিজের স্বার্থ হাসিল করতে গ্রামের জন সাধারণকে ভয় দেখান ঐ উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তার।সে এলাকা হতে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছে।বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচলনা কালে মুচলেকা দিয়ে সে যাত্রায় রেহায় পান হামিদুর রহমান লিটন।কিন্তু এর কিছু দিন পরে অবৈধ ভাবে ফসলি জমির উর্বর অংশ কেঁটে ইট ভাটায় বিক্রি শুরু করেন তিনি । যা পরিবেশ আইনে মারাত্মক অপরাধ ।তিনি কাওকে তোয়াক্কা করেন না।নিজেকে ক্ষমতাধর প্রমান করতে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।এলাকায় ত্রাসের রাজত্বসহ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের জন্য ঐলাকাবাসি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষে কামনা করেছেন।
এবিষয়ে হামিদুর রহমান লিটনের ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্দ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
বিষয়টি তালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, কেউ নিজের জমির মাটি কাটলে তাঁর কিছু করার নেই।তবে অন্যর জমির ফসল নষ্ট করা আইনত অপরাধ। এব্যাপারে কেও অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন জানান,তার কাছে কেও কোন অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
