তালায় ঘুষ গ্রহনকালে জনতার হাতে সহকারী নায়েব আটক

0
389

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি::

সাতক্ষীরা তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী নায়েব আঃ জলিল ঘুষ গ্রহন কালে জনতার হতে আটক হয়েছেন।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার(১২মে) দুপুরে মাগুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর এলাকায়।করোনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার কার্যক্রম যাচাই বাছাইয়ের নামে করে ঘুষ গ্রহন কালে জনতার হাতে আটক হয় সহকারি নায়েব আঃ জলিল।পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে তাকে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, করোনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার জন্য অসহায় মানুষের আর্থিক সাহয্যের জন্য তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তালিকা সঠিকভাবে নিরুপন করা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য তালা উপজেলা প্রতিটি ওয়ার্ডে একজনকরে সরকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে রঘুনাথপুর গ্রামে তদন্ত ভার পড়ে তালা মুড়াকুলিয়া গ্রামের শেখ তায়েজুল ইসলামের পুত্র মাগুরার সহকারী নায়েব আব্দুল জলিল’র উপর।

নায়েব আব্দুল জলিল সেই সুযোগে সরকারী সহায়তার বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা, ভিজিটিকার্ড, ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাউল ক্রয় এর কার্ডসহ যে সকল পরিবার ভাতা পায় তাদের নাম তদন্ত করে একাধিক মানুষের নিকট হতে ১ হতে ৩হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনগন তাকে আটক করে রাখে। উল্লেখ্য সহকারী নায়েব আব্দুল জলিল দূনীতির কারনে কয়েকবার সাজা খেটেছেন বলে জানাযায়।

রঘুনাথপুর গ্রামের বেলায়েত গাজীর স্ত্রী শাহিদা বেগম(৬০)এপ্রতিনিধিকে বলেন, আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দিয়ে আমার নিকট থেকে ১হাজার টাকা নিয়েছে। একই এলাকার মৃত শামসু শেখ এর পুত্র রাজু শেখ(৩৩) বলেন, নায়েব জলির তালিকা হতে নাম কেটে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার নিকট থেকেও ১হাজার টাকা নিয়েছে।

এ বিষয়ে রঘুনাথপুর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেম্বর ইয়াছিন শেখ বলেন, নায়েব জলিল কার্ড দেয়ার নাম করে যে টাকা নিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা। নায়েব জলির এর সাথে আরও ছিলেন এলাকার জাহান আলী মোড়লের পুত্র আকবর আলী মোড়ল ।এলাকা হতে টাকা নেওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করে মারধোর করতে যায়।আমি সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গনেষ চন্দ্র এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। সহকারী নায়েব কার্ডের যাচাই বাছাই এবং মানবিক সাহায্য দেওয়ার নাম করে মানুষের নিকট হতে টাকা গ্রহন করেন। এ সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করলে পরিস্থিতির কথা ভেবে নায়েব জলিলকে উদ্ধার করে আমার কাছে আনতে বলি।

এ বিষয়ে সহকারী নায়েব মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, বিষয়টির সাথে আমি জড়িত না। ইউপি মেম্বর সব জানেন। টাকা উঠিয়েছে আকবর মোড়ল ।আমাকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসনো হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, সহকারী নায়েব জলিল এর সম্পর্কে আমি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আপনারা অতিদ্রæত সেটা জানতে পারবেন।