টাইমস ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিার্থীর করা ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদ আল মামুন ভূঞা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, এদিন কোতোয়ালি থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করেন একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপরে আইনজীবীর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপ বিরোধিতা করেন। উভয়পরে শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল সোমবার দুপুরেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত। তিনি বলেন, ঢাবি শিার্থীর করা ধর্ষণ মামলায় আসামি নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামকে গত রোববার রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাবি শিার্থীর করা ধর্ষণ মামলায় আসামি নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামকে গত রোববার রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। এর আগে গত রোববার নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রিক কমিটির আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বোরবার এক ভিডিও বার্তায় নূর অভিযোগ করেন, মগবাজার থেকে নাজমুলকে, চাংখারপুল থেকে সাইফুলকে এবং প্রেস কাব থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগের যে কর্মী আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল সেই মামলার আসামি হিসেবে নাজমুল এবং সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতেই পারে। কিš’ সোহরাব হোসেনের সঙ্গে এ মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। তাকে কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হলো? গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাবির এক ছাত্রী মামলা করেন। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। নাজমুল হুদা এ মামলার ৫ নম্বর আসামি। তিনি ওই সংগঠনের ঢাবি শাখার সহসভাপতি। পরে ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও একটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।
