ঢাকা-ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে ৩ দিনের জন্য ২ স্পেশাল ট্রেন

0
480

নিজস্ব প্রতিনিধি:
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় দপ্তরের আওতায় এবারের ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ সামলাতে ঢাকা-ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে তিনদিনের জন্য দু’টি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
তবে ঢাকা-ঈশ্বরদীর মানুষ এবার ভিন্ন একটি সুবিধা পাচ্ছেন। সেটি হলো এই ট্রেনটি ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে বিরতীবিহীন যাত্রা করবে।
যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ঈদের তিনদিন আগে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এর ১৬টি কোচ দিয়ে ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামের এ দু’টি ট্রেন চলবে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অসীম কুমার তালুকদার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঈদের তিনদিন আগে ১২, ১৩, ১৪ জুন ‘ঈদ স্পেশাল’ ৭ ও ৮ নামে ৮টি বগি নিয়ে ট্রেনটি ঢাকা-ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে চলাচল করবে।
পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনোয়ার হোসেন জানান,৭ নম্বর বিশেষ এই ট্রেন দুপুর ১৪:৪৪ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে যশোর পৌঁছে ১৫:৫৫ মিনিটে। সেখান থেকে ১৫:৫৯ মিনিটে ছেড়ে যাবে। ১৭:২৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা পৌঁছে ছেড়ে যাবে ১৭:২৯ মিনিটে। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ১৮:৩০ মিনিটে এসে দাঁড়িয়ে ছেড়ে যাবে ১৮:৪০ মিনিটে। বিরতীহীন যাত্রায় ঢাকা পৌঁছাবে ২৩:১০ টায়।
অপরদিকে, ৮ নম্বর বিশেষ ট্রেনটি ঢাকা থেকে ০৫ মিনিট পর ছেড়ে বিরতীহীন ঈশ্বরদী পৌঁছাবে ভোর ৪:২০ মিনিটে। ৪:৪০ ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ছেড়ে যাবে। চুয়াডাঙ্গা ভোর ৫:৫০ পৌঁছে ৫:৫৩ মিনিটে ছেড়ে যাবে। যশোরে সকাল ৭:০৫ মিনিটে পৌঁছে ৭:১০ ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে সকাল ৮:২০ মিনিটে। ইতোমধ্যে এই তিনদিনের টিকিটি বিক্রি শেষে হয়েছে।
এ রুটের আগের সব ট্রেন নিয়মিত সময়সূচিতেই চলবে। ঈদের আগে দিন পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা অভিমুখী আন্তঃনগর ট্রেনের অফ-ডে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের দিন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। পরদিন থেকে যথানিয়মে চলাচল করবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় দপ্তরের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অসীম কুমার তালুকদার, জানান, উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সড়কপথের দীর্ঘ যানজটের কারণে এবার অনেকেই ট্রেনে যাত্রা করছে। সেই দিক বিবেচনা করে এবারের ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষদের জন্য ঢাকা-ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে একটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে। এতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে।
তিনি আরো জানান, ট্রেনে চুরি ছিনতাই, যাত্রী হয়রানি বন্ধে রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা কাজ করবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।