ঢাকায় চাকরির খোঁজে এসে তরুণী ধর্ষিত

0
548

 

খুলনাটাইমস ডেস্কঃ চাকরির সন্ধানে ঢাকায় এসে সৎ বোনের বাসায় উঠেছিলেন এক তরুণী। ওই বাসাতেই চার ব্যক্তি রাতভর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার সকালে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।নির্যাতনের শিকার তরুণী তার সৎ বোনের বাসার ঠিকানা বলতে পারেননি। শুধু বলেছেন, গুলিস্তান এলাকায় ওই বাসাটির অবস্থান। রবিবার বিকেলে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে লঞ্চে তিনি ঢাকায় আসেন। এরপর বোনের বাসায় ওঠেন। তিনি বাসার ঠিকানা ঠিকঠাক বলতে না পারলেও দেখলে চিনবেন বলে জানান।

গুলিস্তানের আশপাশে শাহবাগ থানা, ওয়ারী থানা ও বংশাল থানা অবস্থিত। খবর পেয়ে তিন থানার পুলিশই হাসপাতালে গিয়ে ঘটনার শিকার তরুণীর সঙ্গে কথা বলে। তবে বাসার ঠিকানা পাননি তারা। তরুণী সুস্থ হলে তাকে নিয়ে বাসাটি চিহ্নিত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ বক্সের এএসআই বাবুল মিয়া জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণী বসে ছিলেন। দ্রুত তাকে একটি চাদর দিয়ে ঢেকে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তরুণী বলেছেন, ধর্ষকরা তাকে হাসপাতালে বসিয়ে রেখে চলে গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী চিকিৎসক বিলকিস বেগম জানান, তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে।এই চিকিৎসক বলেন, তরুণীর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন- কয়েক মাস আগে তরুণীর স্বামী তাকে তালাক দেয়। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে সৎ বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকায় চাকরির জন্য এসেছিলেন। সৎ বোনের পরিকল্পনাতেই তার বাসায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।ঘটনার পর তরুণী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতাল এলাকায় ফেলে রাখা হয়। তবে তার উন্নত চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, তরুণীর বিবরণ অনুযায়ী তারা ধারণা করছেন, ঘটনাস্থলটি কাপ্তান বাজার এলাকায় হবে; যেটি ওয়ারী থানার মধ্যে পড়েছে। তবে আশপাশের সব থানা পুলিশই বাসাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ঘটনার শিকার তরুণী কিছুটা সুস্থ হলে তাকে নিয়ে সৎ বোনের বাসাটি শনাক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, বিকেল পর্যন্ত তরুণীর কোনো স্বজন হাসপাতালে বা থানায় যোগাযোগ করেনি। তবে পুলিশ তার গ্রামের বাড়িতেও খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছে।