ডুমুরিয়ায় ৪০টি সমিতির নিবন্ধন বাতিল : তবুও পুরস্কার পেল আমভিটা কৃষি ও মৎস্য খামার সমিতি

0
226

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়ায় মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর আওতায় নিবন্ধিত ২‘শ ৫০টি সমবায় সমিতির মধ্যে ৪০টি সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। সমিতির কার্যক্রম বন্ধ, ব্যাংকিং কার্যক্রম ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে এ গুলি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে নিবন্ধন ছাড়াই, আবার বাতিলকৃত অনেক সমিতি নিয়মিত ঋণদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে জানা গেছে। তবে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বলছেন নিবন্ধন-নীতিমালার বাইরে কোন সমিতি চলতে দেয়া হবে না। নিয়ম-নীতিমালার কঠোর প্রয়োগ রয়েছে বলে প্রতি বছর খুলনা বিভাগের মধ্যে ডুমুরিয়ায় জাতীয় পুরস্কার পেয়ে থাকে। উপজেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়ায় মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর আওতায় নিবন্ধিত ২‘শ ৫০টি সমবায় সমিতি রয়েছে। সমিতি গুলি বেশ সুনামের সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি বেশকিছু সমিতির কার্যক্রম বন্ধ, ব্যাংকিং কার্যক্রম ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪০টি সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ডুমুরিয়া বাজার সেবা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ভদ্রা মৎস্যজীবি সমবায়, প্রতিভা বহুমূখী সমবায়, ডুমুরিয়া বারোয়ানী বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায়, রংপুর ভাইবন্ধু সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায়, রুপরামপুর নবদ্বীপ বহুমূখী সমবায়, চুকনগর গ্লোবাল মাল্টিপারপাস সমবায়, মাদারতলা স্মৃতি বহুমূখী সমবায়, ধামালিয়া শাপলা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায়, টোলনা ফ্রেন্ডস সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায়, কৃষ্ণনগর বারনসি দুগ্ধ সমবায়, খলসি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিসহ ৪০টি। এদিকে নিবন্ধন ছাড়াই ও বাতিলকৃত সমিতির মধ্যে কিছু কিছু সমিতি উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেদারছে ঋণদান কর্মসূচীসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগ ও নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে জানতে চেয়ে কথা হয় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এফএম সেলিম আখতারের সাথে। নিবন্ধন ছাড়া ও বাতিলকৃত কোন সমিতি কাজ করছে এমনটি তার জানা নেই দাবি করে তিনি বলেন, ডুমুরিয়ায় নিবন্ধন প্রাপ্ত ২’শ ৫০টি সমিতি সুনামের সাথে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কথায় আছে “দুষ্টু গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভাল” এমনটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে কড়া নজরদারি ও অডিটে কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও তারা সংশোধন না হওয়ায় ৪০টি সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। নিয়ম-নীতিমালা ও মাঠ পর্যায়ে কঠিন নজরদারি রয়েছে বলে খুলনা বিভাগের মধ্যে ডুমুরিয়া একটি রোল মডেল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। যে কারনে ২০১৭ সালে চন্ডিপুর দুগ্ধ সমবায় সমিতি, ২০১৮ সালে থুকড়া জনতা আদর্শ গ্রাম উন্নয়ন বহুমূখী সমবায় সমিতি ও ২০১৯ সালে আমভিটা সমবায় মৎস্য ও কৃষি খামার সমিতি লিমিটেড জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে। কথা হয় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত আমভিটা সমবায় মৎস্য ও কৃষি খামার সমিতির সভাপতি অরিন্দম মল্লিক ও হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা উত্তম গোলদারের সাথে। কি এমন সফলতা অর্জন করেছেন, যে আপনাদের সমিতি জাতীয় প্ররস্কার প্রাপ্ত হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, ঋণদান কর্মসূচীতে অনেক সমিতি দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এমনটি উপলব্দি করে ঋণদান কর্মসূচী গুটিয়ে নিয়েছি বললেও চলে। বেছে নিয়েছি কৃষি, মৎস্য, ওয়াইফাই, ডিলানশীসহ ১৩টি প্রকল্প। অফিস, শো-রুম, গুদামঘর সহ রয়েছে একাধিক নিজস্ব ভবন। আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রকল্প গুলো আলোর মুখ দেখেছে। এজন্য সৎ, নিষ্ঠা, পরিশ্রমের বিকল্প নেই, যা আমাদের মধ্যে রয়েছে। নিয়মনীতি মেনে সততা ও দক্ষতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করলে প্রতিটি সমিতি আলোর মুখ দেখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।