ডুমুরিয়ায় লাইসেন্স বিহীন জুয়েলার্স দোকানের ছড়াছড়ি, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

0
969

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি, খুলনা টাইমস:
ডুমুরিয় লাইসেন্স বিহীন দেদাচ্ছে চলছে রমরমা জুয়েলারী ব্যবসা। সরকার হারাচ্ছে প্রতি বছর হাজার-হাজার টাকার রাজস্ব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা গেছে ডুমুরিয়ার সদর শরাফপুর বাজার, বানিয়খালী, শাহপুর, থুকড়া, মিকশিমিল, খর্ণিয়া, কাঠালতলা, চুকনগর, আঠারমাইল, মাদারতলা, শোলগাতিয়া বাজারে রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক জুয়েলার্সের দোকান। এদের অধিকাংশ দোকানে নেই কোন বৈধ লাইসেন্স তবুও প্রশাসনের নাকের ডগায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিরও নেই কোন মনিটরিং। অন্যদিকে এসব জুয়েলার্স দোকানিরা যত্র-তত্র নাইট্রিক এসিড পোড়ানই জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। বাজারে প্রধান-প্রধান সড়কের পাশে গড়ে উঠা এসব জুয়েলার্স দোকানে দিনে রাতে সমানে পুড়িয়ে যাচ্ছে নাইট্রিক এসিড। ফলে স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষক শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চলাচলে দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। এসিডের কালো ধোঁয়া ও দূর্গন্ধে নাকে-মুখে কাপড় দিয়ে তাদের চলতে হয় পথ। পথচারী মনিরুল খান বলেন, ডুমুরিয়া বাজারের ভিতরে অসংখ্য সোনা-রুপার দোকানে যখন-তখন পোড়ানো হচ্ছে নাইট্রিক এসিড, যার দূর্গন্ধে আমরা রাস্তায় চলতে পারিনা, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। ডুমুরিয়া উপজেলা জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাতৃ জুয়েলার্সর মালিক অশোক কুমার ভদ্র জানান, উপজেলায় ২শতাধিক জুয়েলার্সের দোকান রয়েছে তার মধ্যে হাতে গোনা ৪০-৫০টি দোকানের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। তবে অধিকাংশ দোকান মালিকেরা ইতিমধ্যে লাইসেন্স পাওয়ার জান্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছে। আর ডুমুরিয়া সদরে ৪টি মাত্র এসিড পোড়ানো কারখান রয়েছে তার মধ্যে ৩টি বৈধ লাইসেন্স আছে। সেগুলো আবার রয়েছে বাজারে ভিতরে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস.এম মারুফ হাসান বলেন, নাইট্রিক এসিড পোড়ানো কালো ধোয়া ও গন্ধে ফুসফুসের মারাতœক ক্ষতি হয় এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, তাছাড়া শরীরে রক্ত জনিত বিভিন্ন সমস্য দেখা দিতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আশেক হাসান বলেন, যেসব জুয়েলার্স দোকানে বৈধ লাইসেন্স নেই তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।