ডুমুরিয়ায় মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কার্যক্রম

0
547

এস রফিক, ডুমুরিয়া থেকে : ডুমুরিয়ায় প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন নির্মানের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আজও তার কার্যক্রম শুরু হয়নি। উপজেলা দলিল লেখক সমিতির স্থাপনা অপসারন করতে না পারায় কয়েক’শ বল্লি পিলার নির্মান করে হাত গুটিয়ে বসে আছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে অচিরেই দলিল লেখক সমিতির স্থাপনা উচ্ছেদ করেএর কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারন প্রকল্পের আওতায় ডুমুরিয়ায় ৫তলা ভবন বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন নির্মান কার্যক্রম গ্রহন করা হয়। যার নির্মান ব্যয় নির্ধারন করা হয় ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬ টাকা। কাজের দায়িত্বভার গ্রহন করেন এশা এমবিপিএল মহিউদ্দিন, পান্থপথ, ঢাকা। যার সময়সীমা ছিল ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ কাজটির ্উদ্বোধন করেন ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর।

উদ্বোধনের পরপরই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাঁচ শতাধিক বল্লি পিলার নির্মানের পর মুল ভবনের কাজ শুরু করতে গিয়ে দলিল লেখক সমিতির বাঁধার মুখে পড়ে। এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শেখ শাহিনুর রহমান ও খান শাহিনুর রহমান মোহন বলেন, যথাযথ সময়ে কাজ শেষ করার লক্ষে আমরা দ্রুত বলিল পিলার নির্মান করে নির্ধারিত স্থানে বলিল পিলার স্থাপন করতে গিয়ে দলিল লেখক সমিতির বাঁধা প্রাপ্ত হই। নির্ধারিত স্থানে থাকা তাদের স্থাপনা যথাসময়ে অপসারন না করায় আমরা ৫/৬ মাস হাত গুটিয়ে বসে আছি।

কেন নির্ধারিত সময়ে আপনাদের স্থাপনা অপসারন করা হচ্ছেনা এমন প্রশ্নের জবাবে সমিতির সভাপতি মোঃ ফাররুখ হোসেন খান বলেন, আমরা এ মুহুর্তে স্থাপনা অপসারন করে কোখা যাবো এবং কিভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো, এমন নিশ্চয়তা না পাওয়ায় স্থাপনা সরাতে কিছুটা দেরী হচ্ছে। তবে দ্রুত এটি অপসারন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুত কুমার দাস বলেন, বার বার নির্দেশ দেয়ার পরও দলিল লেখক সমিতি বিষয়টি আমলে না নিয়ে বসে আছে। যে কারনে উন্নয়ন মুলক কাজটি বাঁধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম এ প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে দলিল লেখক সমিতির স্থাপনা অপসারনের জন্য নির্দেশ দিয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যথাসময়ে অপসারন না করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।