ডুমুরিয়ায় বিয়ের ৬৮ দিন পর আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা

0
333

ডুমুরিয়ায় হত-দরিদ এক পিতা-মাতার একমাত্র মেয়ে বৃষ্টির বিয়ের মাত্র ৬৮ দিন পর আত্মহত্যার বেঁছে নিয়েছে। কেনই বা এত অল্প বয়সে পিতা-মাতা ও স্বজনদের ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিল বৃষ্টি ? প্রশ্নের জবাব খুজতে ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা কারিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে আদালতের স্বরাপন্ন হয়েছে পরিবারটি। লোম হর্ষক এ ঘটনায় সকল বিবেককে নাড়া দিয়ে প্রতিবাদি করে তুলেছে এলাকা বাসিকে।সবাই চায় দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি। গেল ৮ মে উপজেলার মিকসিমিল পল্লীতে ঘটনাটি ঘটে। আদালতে দায়েরকৃত মামলা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায় উপজেলার মিকসিমিল এলাকায় শাজাহান সরদার-স্ত্রী বিলকিস বেগমের একমাত্র মেয়ে বৃষ্টি (১৮) কে একই এলাকার মৃত রফিকুল গাজীর বখাটে ছেলে আকাশ গাজী (২২) উত্যক্ত করতে থাকে।এ নিয়ে ২২ ফেব্রæয়ারী এলাকাবাসির
আয়োজিত এক শালিশী বৈঠাকে আকাশ ও তার পরিবার আর কখনো বৃষ্টির পিছু নিবে না মর্মে মুচলিকা দেয়। কিন্তু তারপরও রক্ষা পেল না বৃষ্টি।থেমে ছিল না স্থানীয় আব্দুল গাজীর উৎসাহে আকাশের তান্ডব। ১ মার্চ-১৮,বৃষ্টি বধু বেসে ছয়বাড়িয়া এলাকার মিন্টু গাজী (২৫)‘র হাত ধরে স্বামী গৃহে পা রাখে। এর মাত্র ৬৮ দিন পর বৃষ্টি বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসলে আকাশ ও তার সহযোগীদের তান্ডবে বৃষ্টি বাধ্য হয় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে।সে দিন ছিল ৮ মে বিকেল ৫ টা, নিজ ওড়না গলায় পেচিয়ে আত্মতত্যা করে বৃষ্টি। ঘটনা প্রসংগে বৃষ্টির মামা আলাউদ্দীন গাজী জানান আত্মহত্যার প্ররোচনা কারিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে থানায় গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে বলে। উপায়ন্ত
না পেয়ে ১৪ মে আদালতের আশ্রয় গ্রহন করেছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি ডুমুরিয়াকে তদন্ত তিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিতে বৃষ্টির মা-বাবা মেয়ে হারা বেদনায় পাগোল হলেও, বড় উল্লাসে আছে প্ররোচনাকারীরা। জানিনা বৃষ্টি হত্যায় বিচার পাব কি না ? তবে আশা আছে।

প্রতিনিধি