ডুমুরিয়ায় পুলিশকে খুশি করতে না পারায় ডজন খানেক কৃষক জেল খানায় !

0
486

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
পুলিশকে খুশি করতে না পারায় ডজন খানেক কৃষককেও যেতে হলো জল খানায়। এমন অভিযাগ ছড়িয়ে পড়াতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জুয়া খেলার অপরাধে সাজিয়াড়া মোড়ে রফিকুল ইসলামের চায়ের দোকান থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। শুক্রবার সকালে কৃষকদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্র জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যয় ঘটনারদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার সাজিয়াড়া মোড়ে রফিকুল ইসলামের চায়ের দোকান এলাকার কৃষকরা অবসর সময়ে কাটানোর জন্য চা-আড্ডার পাশাপাশি বিনোদন মুলকভাবে তাস খেলছিলো। কিন্তু ডুমুরিয়া থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর, কামরুল হোসেন ও আব্দুর রউফের নেতৃত্বে একটি দল সেখান অভিযান চালিয়ে উপজেলার খলশী গ্রামের রফিকুল ইসলাম শেখ (৪৮), জাকির শেখ (৩৮), আজিজুল শেখ(৩৩), কামাল খান (৩০), হামিদ জোয়াদ্দার (৪০), ছাত্তার শেখ (৬৫), গোলাম হোসেন (৪২), মঞ্জুর শেখ(৪০), হাফিজুর সরদার (৪০), শহিদুল খান (৫০) ও জিল্লু রহমান (৫০)কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

থানা ওসি হাবিল হোসেন জানান, ওই চায়ের দোকানে জুয়া খেলা অবস্থায় ১১ জুয়াড়ীকে আটক করা হয়েছে। ওই সময় জুয়ার আসর থেকে নগদ ১ হাজার ৩’শ টাকাসহ ১০৪ পিচ তাস ও একটি প্লাস্টিকের চট জব্ধ করা হয়। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। থানার এসআই ইউসুফ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ১৮৬৭ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনে একটি মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ১৬। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে থানা পুলিশ অযথা কৃষকদেরকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। স্থানীয় শেখ অলিয়ার রহমান নামের এক যুবলীগ নেতা জানান, পুলিশকে খুশি করতে না পারায় কৃষকদেরকেও যেতে হলো জেল খানায়। যাদরকে পুলিশ আটক করেছে তারা অত্যান্ত খেটে খাওয়া নিরিহ মানুষ। ঘটনার রাতে রফিকুলের চায়ের দোকানে সময়কাটাতে ওরা সাধারন তাস খেলছিল, সেখানে কোনভাবে জুয়া খেলা হচ্ছিল না। তিনি জানান, পুলিশের চাহিদানুযায়ী টাকা না দিতে পারায় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানায়, ৩৩ হাজার টাকা চেয়েছিল পুলিশ। স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ ইকবাল হোসেন জানান, সম্পূর্ন মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমার এলাকার কৃষকদেরকে জুয়াড়ী বানিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ৩টি দলে ১২জন লোক সাধারণ তাস খেলছিল ওরা। এরা কেউ জুয়া খেলেনা। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ হয়েছে। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জামিনে মুক্তি দেন।