ডুমুরিয়ায় খাদ্য গুদামে শ্রমিকের বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ধর্মঘট

0
273

চুকনগর প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়া খাদ্য গুদামে কর্মরত শ্রমিকরা মিলের মালিক কামরুজ্জামান জামানের নিকট প্রাপ্ত বকেয়া-বাড়তি পারিশ্রমিক ৩ লক্ষাধিক টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের, আন্দোলন, ধর্মঘট চালিয়ে দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও আজও এর সমাধান হয় নি। এদিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধ না করায় উদ্ধুদ্ধ সমস্যার সমাধান কল্পে মিল মালিক কামরুজ্জামানকে বক্তব্য শ্রবন প্রসঙ্গে নোটিশ প্রদানের পর ২০ দিন অতিবাহিত হলেও আজও তার জবাব পায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে মিল মালিক কামরুজ্জামান কোন নোটিশ পান নি বলে জানিয়েছেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস কর্তৃক মিল মালিক কামরুজ্জামান ও তৎকালীন খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসাইন বরাবর প্রেরিত নোটিশ সূত্রে জানা যায় ২০১৯ সাল বোরো ধান-চাল সংগ্রহ মৌসুমে গুদাম নির্মান সংস্কারের কাজ চলায় মেইন গেট বন্ধ ছিল। যে কারনে গেটের বাইরে ২/৩ শ’ মিটার দূর থেকে ধান-চাল, লোড-আনলোড করতে হয় শ্রমিকদের। এ কাজে শ্রমিকদের বাড়তি মজুরি দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন মিল মালিকরা। সকল মিলার-ডিলার যথা সময়ে বাড়তি মজুরি পরিশোধ করলেও জামান অটোরাইচ মিল মালিক কামরুজ্জামান শ্রমিকদের বাড়তি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে গড়িমসি করেন। এ নিয়ে শ্রমিকদের সাথে তার দ্বন্দ সৃষ্টি হলে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে। ২০১৯ সালে ১২ জুলাই তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসাইন বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে মিল মালিক, ডিলার ও শ্রমিকদের সাথে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করতে ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা শ্রমিকদের বকেয়া পারিশ্রমিক আদায়ের জন্য মিল মালিক কামরুজ্জামানকে চাপ দিলে তিনি অনুরুপভাবে গড়িমসি ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার প্রতি ক্ষুদ্ধ হন। এক পর্যায়ে ৯ জানুয়ারী ওই মিল মালিক তাকে চরম বিপদে ফেলে দেয়। চরম ভোগান্তি ও মানবেতর জীবন যাপন করছে শ্রমিকরা এমনটি দাবি করে শ্রমিক সর্দার নিত্য দাস বলেন, আমাদের পারিশ্রমিক দেয়ার নামে একলক্ষ টাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসাইনের হাতে দিয়ে তাকে বিপদে ফেলেছে মিল মালিক কামরুজ্জামান। আমরা আজও বাড়তি পারিশ্রমিক হিসেবে একটি টাকাও পায়নি। ফলে আবারও ঘর্মঘটে যেতে হবে আমাদের। আপনাকে ৩১ নভেম্বরের মধ্যে বক্তব্য শ্রবন প্রসঙ্গে নোটিশ দেয়া হলেও আজও তার জবাব দেননি এমন প্রশ্ন করলে মিল মালিক কামরুজ্জামান বলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কোন নোটিশ আমি পাইনি। যে কারণে জবাব দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুজিৎ কুমার মুখার্জী বলেন শ্রমিকরা বকেয়া-বাড়তি পারিশ্রমিক না পাওয়ায় তাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিরসনের জন্য গত ১৫ নভেম্বর মিল মালিক কামরুজ্জামান ও তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা লিখিতভাবে জবাব দাখিল করলেও মিল মালিক কামরুজ্জামান আজও জবাব দাখিল করেনি।