ডুমুরিয়ায় খননকৃত ভদ্রানদীর দু’পাড় দখলের মহোৎসব : আশু ব্যবস্থা না নিলে বিলিন হবে ভদ্রা

0
660

এস রফিক, ডুমুরিয়া থেকে : ডুমুরিয়ায় মরা ভদ্রানদী খননের পর খননকৃত মাটি অপসারন করে নদীর দু’পাড় দিয়ে চলছে দখলের মহোৎসব। স্থানীয় একশ্রেনীর প্রভাবশালী ও দখলবাজরা নীতিমালা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে ঘর নির্মান করছে। আবার কেউ কেউ মোটা অংকে এ জায়গা বিক্রির পায়তারা চালাচেছ বলে জানা গেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে দখলবাজদের হিটলিষ্ট’র আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মরা ভদ্রা খনন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। যার ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্ত খননকৃত নদীর পাড়ে মাটি অপসারন করে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী দখলবাজরা জায়গা দখল করে বাড়ীঘর নির্মানসহ বেচাকেনার পায়তারা চালিয়ে আসছে। এমনি একজন দখলবাজ ডুমুরিয়া সদরের আব্দুর রউফ মীর। তিনি ডুমুরিয়া বাজারস্থ এলাকায় নদী সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বিশাল গৃহ নির্মান শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা দেখে আরও অনেকেই উৎসাহীত হয়ে উঠছেন বলে একাধিক সূত্রে জানান। এ নিয়ে কথা হয় ধনাঢ্য আব্দুর রউফ মীরের সাথে। আপনি তো ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, আপনি কিভাবে ভূমিহীন হয়ে ও নীতিমালা উপেক্ষা করে খননকৃত মাটি অপসারন করে গৃহ নির্মান করছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার জায়গায় আমি ঘর করছি ,এটি আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এজন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়না। স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল কাদের শেখ, মোনতাজ হোসেন জোয়ার্দার, চিংড়ার জিল্লুর রহমানসহ অনেকেই বলেন, নদী খননের পর মরাভদ্রা আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কিন্তু কিছু দখলবাজরা আগে ভাগেই নদীর দু’পাড় দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে আশু ব্যবস্থা গ্রহন না করলে দখলবাজদের গ্রাসে বিলিন হবে এ ভদ্রা। নীতিমালা অনুয়ায়ী খননকৃত এলাকায় মাটি অপসারন করে কেহ ঘর নির্মান করতে পারবে কি না ? এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, সবেমাত্র ভদ্রা খননের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী ১০ শতাংশ’র কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা হবে। খননকৃত নদীর দু‘পাড়ে ১৫ ফুট করে বকচার থাকবে। এরপর খননকৃত মাটি সমান করে সরকারি ভাবে বনায়ন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন কর হয়েছে। এরমধ্যে মাটি অপসারন বা ঘর নির্মান তো দুরের কথা। কোন প্রকার হস্তক্ষেপ দেখা গেলে হিট লিষ্টে তার নাম অন্তঃর্ভূক্তকরনসহ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।