ডুমুরিয়ায় কাঠের ব্রীজটির বেহাল দশা : যে কোন মুহুর্তে বিলিন হতে পারে নদী গর্ভে

0
168
????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়ায় মহিলা আলিয়া মাদ্রাসা ও ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) জামে মসজিদ সংলগ্ন সালতা নদীর উপর নির্মিত কাঠের ব্রীজটির বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। ভ্যান, সাইকেল, মটরসাইকেল চলাচল তো দুরের কথা, মানুষ পারাপারের ও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় এটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হবে আশংকা করছে এলাকাবাসি। আশু এটি সংস্কার না হলে মসজিদ গামী মুসল্লী, মাদ্রাসা ছাত্রী-শিক্ষক ও এলাকাবাসি চরম দূর্ভোগে পড়বে। তবে উপজেলা প্রশাসন ও খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি মেরামত করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন, শিক্ষক, ছাত্রী ও মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর শাখা সালতা নদী খননের পর ডুমুরিয়া সদরে মহিলা কলেজ ও মহিলা মাদ্রাসা এলাকা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পারাপারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় নির্মাণ করা হয় প্রায় ৭৫ ফুট দৈর্ঘ্য একটি কাঠের ব্রীজ। সেই থেকে ব্রীজটির উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা, মুসল্লীরা মসজিদ ও এলাকাবাসি যাতায়াত করে আসছে। সম্প্রতি ব্রীজটি ধ্বসে ও কাঠ ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এক পর্যায়ে গাড়ি তো দুরের কথা লোক পারাপারেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ব্রীজটির অবস্থা এত নাজুক হয়ে পড়েছে যে, কখন না জানি নদীতে ভেঙ্গে পড়বে। এ নিয়ে কথা হয় মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শফিকুল ইসলাম, পার্শ্ববর্তি ইটভাটা মালিক আলহাজ্ব আব্দুল কাইয়ুম জমার্দ্দার, স্থানীয় হোসেন আলী সানা, গাজী মেহেদী হাসান, মোকবুল ফকির, শেখ ফরহাদ হোসেন, ছাত্রী জহুরা খাতুন, ফাতেমা খাতুন সহ অনেকের সাথে। তারা একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটির দিকে যেন কাহারো নজর নেই। কখন না জানি ভেঙ্গে পড়ে। আর এটি ভেঙ্গে পড়লে এলাকাটি বিছিন্ন, স্থানীয় লোকজন ও মসজিদ মাদ্রাসার সাথে সম্পৃক্ত সকলে চরম দূর্ভোগে পড়বে। ব্যাহত হবে শিক্ষা কার্যক্রম ও স্থানীয়দের যাতায়াত ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে কথা হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড’র ইপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের হাতে ফান্ড না থাকায় এই মূহুতে আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে এরকম ১৩টি ব্রীজের চাহিদা দিয়ে ফাইল মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি অনুমোদন হলে শ্রীঘ্রই কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, বিষয়টি নলেজে আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি নিরসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।