ডুমুরিয়ায় আটক জামাত-শিবিরের ১৪ নেতাকর্মী জেল হাজতে

0
557

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি:
নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ডুমুরিয়া থানার খর্নিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সভাপতি আবুল হোসেনর রানাই গ্রামের বাড়ীতে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পরওয়ার’র ভাই জেলা সহকারী সেক্রেটারী মিয়া গোলাম কুদ্দুস সহ ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে থানা পুলিশ। গতকাল তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন দুটি ধারায় সহকারী সেক্রেটারী মিয়া গোলাম কুদ্দুস সহ ২২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে (যার নং-০৮) এবং আটককৃত আসামীদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কেরামত আলী  বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে ডুমুরিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম উপজেলার রানাই গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সভাপতি আবুল হোসেনের বাড়ীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনের অর্ধ শতাধিক শীর্ষ নেতারা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে জামাত-শিবিরের ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করলেও  অন্যেরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল, ৯টি জিহাদী বই, ২৯টি সংগঠনের চাঁদা আদায়ের রশিদ ও ৫টি মটর সাইকেল  আটক করেছে। আটককৃতরা সকলেই জামাত-শিবিরের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতা। তারা হলেন, খুলনা জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারী মিয়া গোলাম কুদ্দুস (৫৩), দক্ষিন ডুমুরিয়ার সভাপতি উলার হাবিবুর রহমান (৫২), শিরোমনির আহাদ আলী (২৮), ডুমুরিয়ার আব্দুল গনি (৬০), আঙ্গারদহার মোঃ ওহিদুল ইসলাম (৪৫), সাহসের মনিরুল ইসলাম (৩৫), শরাফপুরের আজাহারুল ইসলাম (৪২), বেতাগ্রামের মোঃ ইসহাক আলী (৪৮), নোয়াকাঠীর হান্নান সরদার (৫০), মালতিয়ার মোক্তার হোসেন (৫৫), আরশনগরের বাহারুল ইসলাম (৫৮), পাইকগাছার শফিকুল ইসলাম (৩৮), গুটুদিয়ার শেখ শাহাদাৎ হোসেন (৫৮), ও মাগুরাঘোনার মান্নান মলঙ্গী (৫২)।  এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন জানান, ধৃত আসামীদের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন সহ তাদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#