ডুমুরিয়ার শোভনায় নির্মানের ১২দিন পর ভেঙ্গে গেল কাঠের সেতু

0
252

এস রফিক,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ার শোভনায় খননকৃত ভদ্রানদীতে নব-নির্মিত কাঠের সেতু নির্মানের মাত্র ১২দিন পর তা মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের ১০দিন পেরিয়ে গেলেও টনক নড়েনি সংংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের।প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সেতুটির একঅংশ ভেঙ্গে পড়েছিল যা এখন বৃদ্ধি পেয়ে অর্ধেক অংশ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বিশেষ করে জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে থাকে অর্ধাংশ সেতু।যে কারনে পারাপারের কোন উপায় না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসি।কথা দিয়ে কথা রাখেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড,বলেছিল শীঘ্রই এটি মেরামত করা হবে কিন্তু বাস্তবে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি। তবে এবার বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়,ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে শালতা ও মরা ভদ্রা খনন করা হয়।এর আগে ওই ভরাট ভদ্রানদীর উপর দিয়ে শোভনা, গাবতলা, চিংড়াসহ একাধিক স্থানে পাকা সড়ক নির্মান করে দু’পারে স্থায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।এতে উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়ে কৃষি বিপ্লব এলাকা নামে পরিচিত শোভনা, গাবতলা, চিংড়া, মলমলিয়া,পূর্ব শোভনা,জিয়ালতলাসহ প্রায় ২০টি গ্রামে অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন যাত্রার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে।সম্প্রতি নদী সংযোগ এলাকায় স্থায়ী কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মাণ না করে শোভনা-ভদ্রদিয়া,ডুমুরিয়া-চিংড়া ও গোডাউন-জোয়ারে এলাকায় নামে মাত্র তিনটি কাঠের পোল নির্মাণ করা হয়।এরমধ্যে সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ শোভনা-ভদ্রদিয়া এলাকায় নির্মিত কাঠের সেতুটি।যা স্থাপনের মাত্র ১২দিন পর তার একঅংশ ভেঙ্গে মরন ফাঁদে পরিনত হয়।যা এখন অর্ধাংশ ভেঙ্গে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে চলাচলের আনুপযোগি হয়ে পড়েছে।এ নিয়ে কথা হয় শোভনা এলাকার শিক্ষক আওছাফুর রহমান,ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন,ইসমাইল হোসেন,কৃষক সমর কৃষ্ণ মলিল্লক,খোদাবক্স শেখ সহ অনেকের সাথে তারা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে কোন স্থায়ী ব্যবস্থা না করে নির্মাণ করা হল নামে মাত্র একটি কাঠের সেতু,তাও আবার ১২দিন পর ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা পড়েছি দারুন বিপাকে।আমাদের উৎপাদিত কোন কৃষিপণ্য বাজারজাতের কোন ব্যবস্থা না থাকায় যোগাযোগ ও অথনীতিতে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।শোভনা-খর্ণিয়া মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্যা,মটর সাইকেল চালক জিয়াউর রহমান,ভ্যান চালক আব্দুল গনি গাজী,হায়দার আলীসহ অনেকেইে বলেন,দিনে দিনে সেতুটি ভেঙ্গে পানিতে পড়ায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসি মালামাল বহন তো দুরের কথা চলাচলও করতে পারছে না।জানিনা কবে এটি মেরামত হবে,নাকি আদৌও হবেনা এ নিয়ে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গণি বলেন,নিম্নমানের বাঁশ,খুটি,কাঠ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি নির্মাণের পূর্বে এলাকাবাসি মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা করলেও কর্ণপাত করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।উল্টা আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করা হয়েছে।জনভোগান্তি চরমে উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি,শীঘ্রই ্এর একটা ব্যবস্থা হবে।সেতু নির্মাণের মাত্র ১২দিনের মাথায় কিভাবে ভেঙ্গে গেল,যা দিনে দিনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বিষয়টি নলেজে আছে কি না ? এমন প্রশ্নের উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন,মাত্র ৫ লক্ষ টাকায় ২৭০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট কাঠের ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে।যা প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সেতুটি মানসম্মত হয়নি।তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেতুটি মেরামত করে জন ভোগান্তি দুর করা হবে।