ডুমুরিয়ার থুকড়া বাজার গিলে খাচ্ছে প্রভাবশালীরা! প্রশাসন নিরব

0
890

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি :
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া বাজার পরিফরিভুক্ত ১নং খাস খতিয়ানের জমির উপর অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছে স্থানীশ জনতা বহুমুখী সমবায় সমিতিসহ অর্ধশতাধিক প্রভাবশালী ব্যাক্তি। বিষয়টি দেখেও প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। দিনদিন সংকুচিত হচ্ছে জনবহুল এই থুকড়া বাজারের মানচিত্র। পাশাপাশি সাপ্তাহিক হাটে জনগনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন।
সরজমিনে ঘুরে এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্র জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী থুকড়া বাজারে ১নং খাস খতিয়ান ৬ একর ৮শতক পরিফরীভুক্ত জমি রয়েছে। অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্বের কারণে বর্তমানে ওই হাট-বাজারের জায়গা সরকারের বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় জনতা বহুমুখি সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন নামে অবৈধভাবে গড় তুলেছে ১২টি পাকা স্থাপনা। এরমধ্যে সমিতি অফিসের সামনে শাহপুর-দৌলতপুর সড়কের পাশে ইমারত নির্মান আইনকে উপেক্ষা করে তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মান করেছে সমিতি কর্তৃপক্ষ। যাহা সম্পুর্ন বেআইনী। সেই সাথে পাল্লাদিয়ে বাজারের জায়গা দখল করে পাকাঘর নির্মান করেছে স্থানীয় বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। এভাব দখল চলতে থাকলে ঐতিহ্যবাহী থুকড়া বাজারটি সংকুচিত হয়ে পড়বে। বাজারটিতে সপ্তাহে দু’দিন শনিবার ও বুধবার হাট বসে। এহাট উত্তর ডুমুরিয়া অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ কেনা-বেচা করে থাকে। এই বাজারটি দীর্ঘদিন ধরে আস্তে আস্তে গ্রাস করে আসছে দখলদাররা। সম্প্রতি বাজার ও হামকুড়া নদীর জায়গা দখল করে স্থানীয় নুরআলী মোল্যার ছেলে মাছ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম একটি একতলা ভবন নির্মান করেছে। বর্তমান সেটি’র নির্মাণকার্য চলমান রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আব্দুল লতিফের নিকট থেকে দখলস্বত্ব কিনে সে পাকা বাড়ি করেছে। ভবন নির্মানে তাকে সরকারিভাবে কোন বাঁধা দেয়া হয়নি। তবে তিনি কোন বৈধ কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি সাংবাদিকদের। এছাড়াও রফিকুল ইসলাম, লতিফ ডাক্তার একইভাবে ঘর নির্মান করছে বলে সাইদুল জানান। সেখানেও প্রশাসন বা অন্য কেউ বাঁধা প্রয়োগ করেনি। ফল নির্বিঘ্নে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে থুকড়া বাজারে। এছাড়াও মইন সড়কের পাশে মনিরুল সরদার, আব্দুর রাজ্জাক ও শহিদুল গাজী বাজারের জায়গা দখল করে একতলা শেষ করে দ্বিতলা ভবন তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ বাজারে প্রায় অর্ধশত অবধ স্থাপনা রয়েছে। গত ২২ নভেম্বর রুপরামপুর গ্রামের মিলন রায়, দিপাংশু মন্ডল, আব্দুল রশিদ, মেঘা মন্ডল ঝুমা, থুকড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফয়সাল খান, মিলন সরদার, মাহমুদুল হাসান, উজ্জ্বল সরদারসহ অন্তত ৪০/৪২ জন অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি তালিকা উপজলা ভুমি অফিসে প্রেরন করে স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিস, থুকড়া। বাজারের অবৈধ দখলদার জনতা বহুমুখি সমবায় সমিতি’র পরিচালক এসএম গোলাম কুদ্দুস সাংবাদিকের প্রশ্নে অতিদম্ভর সাথে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘নিয়ম-কানুন জেনে বুঝে আমরা কাজ করছি।’ এ প্রসঙ্গ ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা এমএ ফরহাদ বলেন, ‘জনতা সমিতি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন নামে ১২টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। তবে একসোনা বন্দবস্ত নিয়ে বড় ভবন করা কোন বিধান নেই। আমি গত ২২ নভম্বর এসব অবৈধ স্থাপনা তালিকা করে উপজলা ভুমি অফিসে প্রেরণ করেছি।’ এ প্রসঙ্গ উপজলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজমুল হাসান বলেন, ‘দখলদারদের তালিকা যাচাই-বাচাই করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’