ডুমুরিয়ার আমভিটা বাজারে সরকারি জায়গায় গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা

0
677

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়া উপজেলার আমভিটা বাজারে শাহপুর-দৌলতপুর সড়কের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে সেখানে আমভিটা সমবায় মৎস্য ও কৃষি খামার সমিতি’র দ্বিতল ভবন নির্মান করছে অবৈধ দখলদাররা। পাউবো কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে নির্বিঘেœ ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। একই সাথে রাস্তার জায়গায় পাকা দোকানপাট গড়ে তুলেছে আরো অন্তত ২০/২৫জন দখলদার।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্রে জানা যায়, দৌলতপুর-শাহপুর সড়কে ডুমুরিয়া উপজেলার আমভিটা বাজার। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৫নং পোল্ডারের বেড়ি বাঁধের জায়গা রয়েছে প্রচুর। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের একশ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে সম্প্রতি আমভিটা সমবায় মৎস্য ও কৃষি খামার সমিতির নামে একটি দ্বিতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পাশে যমুনা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি’র নামে আরো একটি একতলা পাকা ভবন নির্মান করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে সেখানে পাকা স্থাপনা তৈরি করে যাচ্ছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি। স্থানীয় সুকলাল মল্লিক, আঃ রহিম, সুকুমার মন্ডল, দয়াল মন্ডল, আকরাম মোড়ল ও লালু গাজীর পাকা দোকান ঘর রয়েছে এবং সরকারি জমিতে দ্বিতলা ভবন করেছে শংকর মন্ডল। এছাড়া রমেশ মন্ডল, প্রকাশ মন্ডল, অজিত মন্ডল, সুনিল মন্ডল, মুকুন্দ বাছাড়, সিদ্ধিশ্বর মন্ডল, সঞ্জয় মল্লিক, বিজয় বিশ্বাস, প্রনব মল্লিক, শিশির মল্লিক ও খোকন সরকার টিনের ছাউনির ঘর করে অবৈধ দখলে রয়েছে। অবৈধ দখলদার সুকলাল মল্লিক জানান, ‘ওয়াপদা অফিসের লোকদের ম্যানেজ করে আমরা দোকান করেছি। তাতে কেউ বাঁধা দেয়নি। আমি তো অল্প জায়গা নিয়ে ঘর করেছি।’ এ বিষয়ে আমভিটা সমবায় মৎস্য ও কৃষি খামার সমিতির সভাপতি অরিন্দম মল্লিক জানান, ‘১৯৮১ সালে আমাদের এ সমিতির যাত্রা শুরু। প্রথমে আমভিটা বাজারে টিনের ছাউনির সমিতির ঘর ছিলো। গত ৩ বছর হচ্ছে সেখানে পাকা ঘর করা হয়েছে। সরকার আমাদেরকে আগে ডিসিআর দিতো, কিন্তু সম্প্রতি এখন ডিসিআর দেয়া বন্ধ করেছে।’ কিন্তু সমিতির ভবন নির্মান থেমে নেই। সম্পূর্ন অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে সমিতির দ্বিতলা ভবন কাজ চলছে। এভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল হলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই বললেও চলে। এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাঈদুর রহমান জানান, আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের তহবিলে অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদের জন্য দেড় লাখ টাকা রয়েছে। অচিরেই অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে থুকড়া ও আমভিটা বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।