ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিবাদ বিএফইউজে ও এমইউজে খুলনার

0
401

বিজ্ঞপ্তি : সাংবাদিক, সম্পাদক ও নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী ছাড়াই সংসদীয় কমিটিতে চূড়ান্ত করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনা-এমইউজে’র নেতৃবৃন্দ। সংসদের চলতি অধিবেশনে আইনটি পাস না করে এটি আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং সংশোধনের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং এমইউজে খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, সহ-সভাপতি এহতেশামুল হক শাওন, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয়, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি ড. মো. জাকির হোসেন, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এহতেশামুল হক শাওন এক বিবৃতিতে বলেন, আইনটি চূড়ান্ত করতে এক মাসের সময় নেয়ার পর দিনই তাড়াহুড়া করে সংসদীয় কমিটিতে চূড়ান্ত করার মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হচ্ছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এবং গণমাধ্যমে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সম্পাদক, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে সব ধারা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন সেসব ধারা বহাল রেখেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। বহুল বিতর্কিত ৩২ ধারাটি তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থী। এছাড়া চূড়ান্তকৃত আইনের ৮, ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারা প্রচলিত ফৌজদারি দন্ডবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার বিষয়গুলোকে এসব ধারায় বিভক্ত করে যেভাবে আরও কঠোর এবং অধিকতর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে তা মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, মুক্তচিন্তা, বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে সাংবিধানিক সুরক্ষার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে এটি নির্বিচারে ব্যবহার হওয়ার আশংকা প্রবল। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ আইনের পাস ও কার্যকরের প্রক্রিয়া বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণযোগ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।