ডিজনের মাঠে পিএসজি’র হোঁচট

0
265

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : রেলিগেশন জোনে থাকা ডিজনের কাছে ২-১ গোলের হতাশাজনক পরাজয়ের মধ্য দিয়ে লিগ ওয়ানের এবারের মৌসুমে তৃতীয় হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই। এই পরাজয়ের পিছনে পিএসজি বস থমাস টাচেল খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত নিষ্ক্রিয় মানসিকতা ও সংঘবদ্ধ হয়ে না খেলার কৌশলকেই দায়ী করেছেন। ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নদের এই পরাজয়ের কারনে সপ্তাহের শেষে শীর্ষে থাকার ব্যবধান পাঁচ পয়েন্টে কমে আসার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নঁতের থেকে পিএসজি আট পয়েন্ট এগিয়ে ১২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। মাত্র নয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানির দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থেকে ঘরের মাঠে কাল ডিজন ম্যাচ শুরু করেছিল। কিলিয়ান এমবাপ্পের ১৯ মিনিটের গোলে স্বাগতিকরা া পিছিয়েও পড়ে। মৌসুমে এটি ছিল সাত ম্যাচে এমবাপ্পের পঞ্চম গোল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ষষ্ঠ মিনিটে মৌনির চোয়িয়ার স্বাগতিকদেও হয়ে সমতা ফেরান। এরপর ৪৭ মিনিটে ২৪ বছর বয়সী ভেনেজুয়েলার স্ট্রাইকার জোনডার কাডিজের গোলে ডিজনের জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষে হতাশ টাচেল বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা অনেক বেশি নিষ্ক্রিয় ছিলাম। এটা শুধুমাত্র রক্ষণভাগে নয়, বরং আক্রমণভাগেও একই পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আমরা কেউই একসাথে খেলিনি। আমাদের মধ্যে স্পষ্টতা ও ছন্দেও অভাব ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ভাল খেলা চেষ্টা করেছে খেলোয়াড়রা। কারন প্রথমার্ধে যেখানে মাত্র তিনটি শট ছিল সেখানে বিরতির পর আমরা ১৭টি শট নিয়েছি। হয়তবা ভাগ্য আজ আমাদেও সহায় ছিলনা।’ নেইমার ছাড়া মাঠে নেমেও ডিজনের মত দলের বিপক্ষে পিএসজির কাল জয়টা প্রাপ্য ছিল। শুক্রবারের আগে ১১ ম্যাচে ডিজন যেখানে ১১ ম্যাচে মাত্র ৬ গোল করেছে সেখানে তাদের এই জয়ে পিএসজির সমর্থকদেও দারুন হতাশ করেছে। ২০১১ সালের পরে শীর্ষ পর্যায়ের কোন ম্যাচে ডিজন পিএসজিকে পরাজিত করতে পারেনি। এর আগে আটবারের দেখায় ডিজনকে ৩১ গোল হজম করতে হয়েছে। ডিজনের রক্ষনভাগে চূড়ান্ত ভুল বুঝাবুঝির সুযোগে এ্যাঙ্গেল ডি মারির সহায়তায় এমবাপ্পে ১৯ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। স্বাগতিক গোলরক্ষক আলফ্রেড গোমিসের মাথার উপর দিয়ে দারুন একটি চিপে বল জালে জড়ান ফ্রেঞ্চ বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে রাইট উইং থেকে দিদিয়ের এনডোংয়ের ক্রস থেকে গোল করে চোয়িয়ার ডিজনকে সমতায় ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে মারকুইনহোস ও ইদ্রিসা গুয়েকে কাটিয়ে বাম পায়ের জোড়ালো শটে কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করে দলের জয় নিশ্চিত করেন কাডিজ। টাচেল বলেন, ‘আমরা পরাজয়কে ঘৃণা করি। যে কয়টি সুযোগ আজ সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলো কাজে লাগালে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। আমাদের এই পরাজয় মেনে নিতে হবে ও সামনে এগিয়ে যাবার জন্য আরো কাজ করতে হবে। তবে আমি খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’ বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে ক্লাব ব্রাগের মুখোমুখি হবার আগে পিএসজি শিবিরে এখন আত্মবিশ্বাসটাই জরুরী।