ডিএনসিসি’র ১৩৮ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, তৃতীয় দিনে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

0
187

টাইমস ডেস্ক:
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। গতকাল বুধবার তৃতীয় দিনের মতো পরিচালিত হয় এ অভিযান। এ দিনের অভিযানে ১৩ হাজার ৬০৭টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ১৩৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৭ হাজার ৫৮৭টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গতকাল বুধবার ১৮টি মামলায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ডিএনসিসির সবগুলো ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উত্তরা এলাকায় (অঞ্চল-১) মোট ৮২৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৭১৬টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭টি মামলায় মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। মিরপুর-২ এলাকায় (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৭২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৫৪টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৮৫৬টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৫৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ২৯০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-১০ এ (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৮৯১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। কারওয়ান বাজারে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৪৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ২ হাজার ১০৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। হরিরামপুর এলাকায় (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪৭৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ২৬৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। দক্ষিণখানে (অঞ্চল-৭) মোট ৮১৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৫৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখানে (অঞ্চল-৮) এর অধীনে মোট ৬৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৩৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা এলাকায় (অঞ্চল-৯) মোট ৪৯৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৩২৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাতারকুল এলাকায় (অঞ্চল-১০) মোট ৭৫০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬১৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।