টেন্ডুলকারকে নেওয়া হলো হাসপাতালে

0
211

টাইমস ডেক্স:  বিশ্বকাপ জয়ের দশকপূর্তি আজ। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল জেতার পর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকারকে কাঁধে নিয়ে ঘুরেছিলেন হরভজন সিং, বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিংরা। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তির প্রাপ্তিযোগের বৃত্তপূরণ ছিল সেই বিশ্বকাপ জয়। ক্রিকেটে সম্ভব–অসম্ভব প্রায় সব রেকর্ড নিজের করে ফেলেছিলেন যখন, বিশ্বকাপটা আর বাদ যায় কেন!

দশকপূর্তির এই দিনের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। করোনাকালের আতঙ্ক ছেয়ে ফেলেছে গোটা দুনিয়াকে। ‘মাস্টার বøাস্টার’ নিজেও করোনায় আক্রান্ত। গত সপ্তাহে ট্ইুট করে জানিয়েছিলেন, কোভিড–১৯ ভাইরাস অযাচিত অতিথি হয়ে ঢুকেছে তাঁর শরীরে। সপ্তাহখানেক পর আজ তিনি নিজেই জানিয়েছেন, কিছুদিনের জন্য হাসপাতালে থাকতে হবে তাঁকে।

নাহ্! টেন্ডুলকারভক্তদের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কারণ ঘটেনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে কিছুটা সতর্কতা হিসেবেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ক্রিকেট–কিংবদন্তি।

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর পূর্তি আজ।
ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর পূর্তি আজ। ফাইল ছবি
খবরটা টেন্ডুলকার নিজেই টুইট করেছেন। তাতে লিখেছেন, ‘আমার জন্য প্রার্থনা করায় সবাইকে ধন্যবাদ। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ও সতর্কতা হিসেবে আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারব। সবার জন্য শুভকামনা, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। সব ভারতীয় ও আমার সতীর্থদের বিশ্বকাপ জয়ের দশকপূর্তির শুভেচ্ছা জানাই।’

গত ২৭ মার্চ করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পান টেন্ডুলকার। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরাও পরীক্ষা করান একই সঙ্গে। তাঁদের অবশ্য রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

মৃদু উপসর্গ নিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। গত কয়েক দিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরও সেভাবে পাওয়া যায়নি। তিনি পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে বাসায় আইসোলেশনে রেখেছিলেন।

এ মাসের শুরুতে ভারতের রায়পুরে রোড সেফটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট—লিজেন্ডস ক্রিকেট নামে যেটি বেশি পরিচিত, সেই টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন টেন্ডুলকার। ভারত, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল এ টুর্নামেন্ট।

তবে এর পরপরই করোনায় আক্রান্ত হন টুর্নামেন্টে টেন্ডুলকারের নেতৃত্বে শিরোপা জেতা ভারতের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এঁদের মধ্যে আছেন ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠান, সুব্র্রামানিয়াম বদ্রিনাথরা।

অনেকেই রায়পুরের এই টুর্নামেন্টকে করোনার আখড়া বলছেন। প্রতিযোগিতাটিতে জৈব সুরক্ষাবলয় কতটা শক্ত ছিল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।