টি-টোয়েন্টি দলে আমিনুল-শান্ত

0
301

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের হয়ে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও নাজমুল হোসেন শান্তর। কিন্তু নাটকীয় পালাবদলে দুজনকেই যেতে হচ্ছে চট্টগ্রামে। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন দুজনই। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, মূলত কোচের আগ্রহে নেওয়া হয়েছে এই দুজনকে।
টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম পর্বের বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বড় চমক বলা যায় আমিনুলের দলে আসা। ২০ ছুঁইছুঁই তরুণ গত জুলাইয়ে অনেকটা হুট করেই সুযোগ পান বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজের শেষ একদিনের ম্যাচ খেলেন। এরপর বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে খেলেছেন শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে।
সম্ভাবনাময় বলেই এই সুযোগগুলো পেয়েছেন। কিন্তু পারফরম্যান্স এমন আহামরি ছিল না যে এত দ্রুত জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যাবেন। কিভাবে এলো এই সুযোগ? জানালেন প্রধান নির্বাচক।
“বিপ্লবকে নেওয়া হয়েছে মূলত কোচের আগ্রহে। প্র্যাকটিসে ওকে দেখে কোচের ভালো লেগেছে। আমরা চেয়েছিলাম ওকে ভারতে পাঠাতে (এইচপির হয়ে)। কিন্তু কোচ বেশ জোরাজুরি করছিলেন যে ওকে আরও ভালোভাবে দেখতে চান। এজন্যই নিয়েছি।”
কোচের সেই ‘ভালো লাগা’ লেগ স্পিনার আমিনুলকে দেখে। তার পরিচয় অনেকটা বদলে গেছে গত কয়েক মাসে। বয়সভিত্তিক পর্যায়েও ছিলেন মূলত ব্যাটসম্যান। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নজর কেড়েছেন বিকেএসপির হয়ে ৪৪০ রান করে। তার ব্যাটিংয়ের ধরনও টি-টোয়েন্টির সঙ্গে খুব যায় না। ঢাকা লিগে দেখা গেছে, ঠা-া মাথায়, ধৈর্য্য নিয়ে ইনিংস গড়তে পছন্দ করেন।
দৃশ্যপট বদলের শুরু এইচপি দলে ডাক পাওয়ার পর থেকে। অনুশীলনে তার বোলিং দারুণভাবে মনে ধরে যায় এইচপি কোচ সাইমন হেলমটের। কিছুদিন আগেও তিনি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। নির্বাচকদের তিনিই জানান বোলার হিসেবে আমিনুলের উন্নতির কথা। সেখান থেকেই আফগানদের বিপক্ষে ‘এ’ দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এই তরুণ।
প্রধান নির্বাচক জানালেন, আমিনুলের বোলিংয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।
“আমরাও শুরুতে ওকে ব্যাটসম্যান হিসেবেই জানতাম। কিন্তু এইচপিতে ওর বোলিংয়ের উন্নতি হয়েছে অনেক। এইচপির কোচরা ওকে নিয়ে আশাবাদী। জাতীয় দলের কোচও এইচপির কোচদের কাছ থেকে শুনেছেন, তারপর দেখেছেন।”
শান্তর টি-টোয়েন্টি দলে আসাও এইচপি কোচদের সার্টিফিকেটে, জাতীয় কোচের আগ্রহে। টি-টোয়েন্টি রেকর্ড তার সমৃদ্ধ নয় ততটা, তার ব্যাটিংয়ের ধরনকে টি-টোয়েন্টির জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়নি এতদিন। শান্তকে নিয়েও মিনহাজুল আবেদীন বললেন কোচের কথা।
“আমরা এতদিন মূলত ওকে ওয়ানডে ও টেস্টের জন্যই বিবেচনা করেছি। কিন্তু এইচপির কোচদের কাছ থেকে জেনে জাতীয় কোচ ওকেও একটু দেখতে চান।”
প্রধান নির্বাচকের ধারণা, দলে নেওয়া হলেও আমিনুল-শান্তকে মূলত ‘দেখাদেখির’ পর্যায়েই রাখা হতে পারে।
“একাদশ যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট করবে, তবে আমার মনে হয় না ওরা খেলার সুযোগ পাবে। ২ট ম্যাচ মাত্র, ১৫ জনের স্কোয়াড। কয়জন খেলবে তবে! কোচ ওদেরকে প্র্যাকটিসে দেখতে পারবেন কাছ থেকে।”
দলে ডাক পাওয়া নতুন আরেকজনকে নিয়ে অবশ্য খুব একটা প্রশ্ন নেই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গত দুই মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এরপর শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে ভালো করেননি। তবে সৌম্যর বাজে ফর্ম নাঈমকে করে দিয়েছে সুযোগ।
“অনেক দিন থেকেই রান করছে না এই ফরম্যাটে। তবু এই সিরিজে সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আর রাখতে পারছি না। ওকে শ্রীলঙ্কায় পাঠাব ‘এ’ দলের হয়ে। নাঈম তো বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের বিবেচনায় আছে। টি-টোয়েন্টির জন্যই ভেবেছি ওকে। দেখি কেমন করে।”
ত্রিদেশীয় সিরিজের চট্টগ্রাম পর্বে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ বুধবার ও শনিবার।