টাইমস প্রতিবেদক : ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতে একটা জয় দরকার ছিলো শ্রীলঙ্কার। ডু অর ডাই ম্যাচে শুধু জেতেইনি লঙ্কানরা, উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিয়ে নামিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত। সুরাঙ্গা লাকমাল, থিসারা পেরেরা ও দুশমান্থা চামিরাদের তান্ডবে ৮২ রানে অলআউট টাইগাররা। যেটা লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। হেসেখেলে সহজ টার্গেটে পৌঁছেছেন লঙ্কান দুই ওপেনার।
ম্যাচের আগের দিন উইকেট নিয়ে বিভ্রান্তি ছিলো চান্দিমালের। স্বাগতিকদের লুকোচুরি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাগঢাক করেননি। কিন্তু ম্যাচে, উইকেটকে ভালোই রিড করলেন লঙ্কান বোলাররা।
দোষ কার উইকেট না ব্যাটসম্যানের। যদি উইকেটের দোষ দেয়া যায়, তাহলে লঙ্কান দুই ওপেনার সাবলীল ব্যাটিং করলেন কিভাবে? ৮৩ রানের টার্গেটে পৌঁছতে লাগলো মাত্র ১১ ওভার ৫ বল। মাশরাফী-সাকিবদের খেলতে একবারও সমস্যায় পড়তে হয়নি গুনাথিলাকা ও থারাঙ্গাকে।
ফাইনালের পোশাকি মহড়ায় একটাই পরিবর্তন। সানজামুলের রিপ্লেসমেন্ট আবুল হাসান রাজু। টসজয়ী বাংলাদেশের হাসি, মুখে লেগে থাকতেই ফিরলেন বিজয়।
বিজয় বিদায় নিবেন দ্রুত, ইনিংসের হাল ধরবেন তামিম-সাকিব গত তিন ম্যাচে তাই হয়েছে। কিন্তু এদিন হয়নি, সাকিব ফিরলেন রান আউটে, অল্প সময়ের ব্যবধানে বিদায় তামিমের, পাঁচ ওভারের মধ্যে তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে এলোমেলো বাংলাদেশ।
মুশফিক-মাহমুদুল্লাহদের সামনে বড় সুযোগ, নিজেদের প্রমাণ করার পাশাপাশি দলকে উদ্ধারে এই দুইজনের দিকেই তাকিয়ে সবাই। কিন্তু প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা বুঝতেই পারলেন না মাহমুদুল্লাহ।
ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম ওডিআই। মাইলফলকের ম্যাচে অপরিপক্ক সাব্বির। দায়িত্বহীন আউটে বাংলাদেশকে ফেললেন বিপদে। স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান নেই পাঁচ উইকেট।
গল্পটা অন্যরকম লেখার চেষ্টা করলেন মুশফিক। কিন্তু রাজু-নাসির-মাশরাফীরা প্রতিরোধ গড়তে পারলেন না। মুশফিকের ২৬ রানই দলের সর্বোচ্চ। অতিরিক্ত ১৪ রান, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
টেনেটুনে ২৪ ওভার ব্যাট করলো বাংলাদেশ। ১১ ব্যাটসম্যানের নয় জনই ফিরেছেন এক অংকে। লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৮২ রানের লজ্জায় মাশরাফীর দল।