জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

0
412

আজিজুর রহমান,খুলনা টাইমস :
খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির জুলাই মাসের সভা রোববার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় কেডিএ সচিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেসিসি’র প্রতিনিধি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন, গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সামাজিক বন বিভাগের প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন।
সভায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ও জেনারেল হাসপাতালের সামনে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন অপসারণ করা দাবী বিগত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ডাস্টবিন সরাতে হলে নিকটবর্তী ভৈরব নদীর পাশের কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে দিলে সেটি সম্ভব হতে পারে বলে জানায় কেসিসি। কেসিসি’র প্রতিনিধি বলেন, শহরে ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কিছু বাড়ির ছাদ ছিদ্র করে দেয়া হয়েছে। এখন সেগুলি জেলা প্রশাসকের অধীনে ২২টি ও গণপূর্ত বিভাগের অধীনে থাকা ১৬টি ভবনের বরাদ্দ দ্রুত বাতিল করে তালিকা স্বস্ব দপ্তরে প্রেরণ করতে হবে।
খুলনা গণপূর্ত বিভাগ জানান, জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনীর জরাজীর্ণ সরকারি কোয়ার্টার দ্রুত পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ১টি ডরমিটরি নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রকল্পের আওতায় আঠারোবেকী নদী পূনঃখনন, সংযোগ খাল পূনঃখনন ও নদীতীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, নদীর তীরবর্তী জমি থেকে ইটভাঁটাসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর পাড়ে বনায়ন করা সম্ভব হবে।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ.খ.ম তমিজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান বর্ষা মৌসুমে কয়রা উপজেলার ১৩০ কি.মি. বাঁধের মধ্যে ৪০ কি.মি. বাঁধই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোন সময় তা ভেঙ্গে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যেতে পারে। এটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের ঝপঝপিয়া সেতু নির্মাণের জন্য চীন সরকারের সাথে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি ১১তম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু হিসেবে নির্মিত হবে।
সামাজিক বন বিভাগের প্রতিনিধি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্মরণে সমগ্র দেশব্যাপী একযোগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রিশ লক্ষ বৃক্ষ রোপণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে খুলনার ৯টি উপজেলায় ৬০ হাজার চারা রোপন করা হবে। এ জন্য উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুপাতে চারার সংখ্যা প্রয়োজন। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ দায়িত্বে চারা সংগ্রহ ও রোপন করবেন। এতে সভাপতি ঘন জায়গায় গাছ না লাগিয়ে ফাকা জায়গায় গাছ লাগানোর উপর গুরুত্বরোপ করেন।