জাসদ জেলা ও মহানগর’র শিপাহী জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

0
173

খবর বিজ্ঞপ্তি:
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে শিপাহী জনতার গনঅভুত্থান দিবস জেলা জাসদের সহ সভাপতি আকবর আলী শেখ এর সভাপতিত্বে এবং জাসদ নেতা চাঁন মিয়ার পরিচালনায় জাসদের অস্থায়ী কার্য্যালয়ে শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্য প্রদান করেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার গনঅভুত্থান সংগঠিত হয়। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেনা বাহিনির মধ্যে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় যখন দেশের স্বাধীনতা, সর্বভৌমত্ব হুমকির মুখে তখন কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পুর্ব ঘোষনার মাধ্যমে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার গনঅভ্যুত্থান হয়। কিন্তু জিয়া পাল্টা কু করে ক্ষমতা দখল করে এবং ক্ষমতার মসনদ পাকাপক্ত করতে সেক্টর কমান্ডার বীরউত্তম কর্নেল তাহেরসহ দেশ প্রেমিক হাজার হাজার সিপাহি, সেনা সদস্যদের হত্যা করে। এ দেশটাকে পাকিস্তানি রাষ্ট্র বানাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল কাজ করতে থাকে। জামাত-শিবিরসহ সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটায়। সংবিধানের মূল চেতনাকে নষ্ট করতে নানা সংশোধনী আনে। আইন করে বঙ্গবন্ধুসহ ঐ সময়ের সকল হত্যাকান্ড বন্ধ ঘোষনা করে, ফলে ১৯৭৫-১৯৯৫ সাল অবধী বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার, জাতীয় চার নেতা, কর্নেল তাহের সহ কোন হত্যার বিচার করা যায়নি। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে এবং ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে সেনা বাহীনির কিছু উচ্চভিলাশী অফিসারদের কারনে গনতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্ন হতে চলেছিলো সে সময় অবঃ কর্নেল তাহের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ও ক্ষমতালোভী সেনা কর্মকর্তার হাত থেকে দেশকে গনতন্ত্রের পথে আনতে সাধারন শিপাহী ও জনতাকে নিয়ে ৭ নভেম্বর গনভ’থ্যান করেন। ১৫ আগষ্ট খুনি মোস্তাকের নেতৃত্বে কর্নেল ফারুক, রশিদ গং এবং ৩রা নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোসারেফ গং এবং ৭ নভেম্বর নিয়ে ইতিহাসের ঘটনাবলী নিয়ে বিকৃত উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের মক্তির ঐক্য আরো মজবুত করতে হবে। অন্যান্য বক্তারা বলেন, হত্যা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি জিয়া চালু করেছেন, যা এরশাদ, খালেদা জিয়া অব্যাহত রাখেন। বক্তারা কর্নেল তাহের হত্যার পূর্নাংগ বিচারের দাবী করেন। দেশে সূশাসন, গনতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় দূর্নিতী, লুটপাট, অর্থ পাচার, দখলবাজী, ক্ষমতাবাজী, নারী-শিশু নির্যাতন ধর্ষন, কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তব্য জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক স, ম, রেজাউল করিম, মহানগর সাধারন সম্পাদক আরিফুজ্জামান মন্টু, জাসদ নেতা নাসিমা, নিলুফা ইয়াসমিন নিলুসহবিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।