জলাবদ্ধতা নিরসনে পাইকগাছার নৈর নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছে এলাকাবাসী

0
443

শেখ নাদীর শাহ্,কপিলমুনি::
পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জলবদ্ধতা নিরসনে সেখানকার নৈর নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে দেয়া বাঁধ অপসারণ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে এলাকাবাসী শনিবার সকালে এ বাঁধগুলি অপসারণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, চাঁদখালী ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার হতে কাঁটাবুনিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম নৈর নদী। উপজেলার চাঁদখালী, ঢেমশাখালী, কাঁটাবুনিয়া, ফেদুয়ারাবাদ, কমলাপুর, মৌখালী, গড়েরআবাদ, পূর্ব গজালিয়া ও গজালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় এই নদী দিয়ে। তবে জনৈক গোলক নদীটির ইজারা নিয়ে বিভিন্ন লোক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালুর বস্তা ফেলে নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে খন্ড খন্ড করে মাছ চাষ করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।
বিস্তীর্ণ অঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমির কৃষি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকায় এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট একটি আবেদনও করেন।
এর পরি প্রেক্ষিতে পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে আ’লীগনেতা জিএম ইকরামুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকাবাসী শনিবার সকালে নদীর বিভিন্ন স্থানের অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান, গাউছুল আজম, হাফিজুর রহমান, কংকন সানা, আল-আমিন, নূর মোহাম্মদ, বাপ্পি গাজী, নাইম ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, শফিকুল মিস্ত্রী, শাহিন আলম ও কবিরুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদীর চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকায় হযরত ঢালী, মোস্তফা কামাল, মিনারুল মোড়ল ও জলিল ঢালীসহ কয়েকজন ব্যক্তি নদীতে বাঁধ দিয়ে খন্ড খন্ড করে মাছ চাষ করায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ঐ অবস্থা তৈরী হয়ে