জনস্বার্থ সবার আগে দেখেন যে ইউএনও

0
409

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্কুল-কলেজে অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী আছে যারা অভাবের তাড়নায় একটি স্কুল ব্যাগ কিনতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করে স্কুল ব্যাগ কেনার একটা প্রকল্প হাতে নেই। ৪০০ ব্যাগ কিনি এবং আজ তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করি। বাচ্চাদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখে অনেক খুশি হয়েছি।

উল্লেখিত কথাগুলো দিনাজপুর উপজেলার নবাবগঞ্জ ইউএনও মশিউর রহমানের। সোমবার ফেসবুকে নিজের মনোভাব প্রকাশ করে এই প্রশাসক বলেন, জনস্বার্থ সবার আগে দেখেন তিনি। তার ওই ফেসবুক পোস্টে উঠে আসে প্রশাসক হয়ে জনসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করার কাহিনী।

জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১০০ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা উপকরণ বিতরণের একটা বিশেষ বরাদ্দ আসে। সোমবার ৩ সেপ্টেম্বর বরাদ্দকৃত অর্থে শিক্ষার্থীদের ১০০টি ব্যাগ ও প্রত্যেককে ৩টি করে বাংলা একাডেমির অভিধান (বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে বাংলা ও বাংলা বানান অভিধান) দেয়া হয়।

এসকল উপকরণ পেয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা মহাখুশি, তাই এই ইউএনও’র খুশির মাত্রা আরও বেড়েছে তাতে। এরপর দুপুরের পর রোডস ও হাইওয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ নিয়ে ১নং জয়পুর ইউনিয়নে ফুলবাড়ি টু মিঠাপুকুর হাইওয়ের ভাগলপুর বাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।রাস্তার দুপাশে দোকানদাররা নিজেদের মত করে ঘর চালা তুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। রাস্তার দুপাশ ফকফকা করায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে যে খুশি খুশি অভিব্যক্তির প্রকাশ দেখেছি তাতে হয়েছি মহাখুশি, জানালেন ইউএনও।

এসময় তিনি আরও জানান, ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্সার ক্ষতিকারক লাইটগুলো খোলার সময়ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম খুশির ভাব দেখেছি। জনগনের এসব খুশি আমাকে আরও উৎসাহ যুগিয়েছে। জনগনের খুশির জন্যই চাকরিটাকে ভালবেসে ফেলেছি। একটা সময় ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছু নেই এই জবে তাই প্রচন্ড খারাপ লাগতো। কিন্তু সেই একই চাকরিই এখন খুউব উপভোগ করি। মানুষের মন বদলায়। সত্যি আজব সবকিছু।