ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে পাইকগাছায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

0
266

কপিলমুনি প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাইকগাছা উপজেলা,পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগ।
বুধবার সকাল ১১ টায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি পাইকগাছার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মশিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক তানজিম মুস্তাফিজ বাচ্চুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পৌরসভা ছাত্রলীগের মাসুদ পারভেজ রাজু ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাফিজ আল-জুবায়ের।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফাহিম সরদার, মিন্টু মিস্ত্রী, শরিফ রায়হান, চয়ন, দেবনাথ, উত্তম, রামকৃষ্ণ, রেজাউল করিম, জয় মন্ডল, পল্লব, বিশ্বাস, নাফিজ, ফয়সাল, নাহিন, আরাফাত, শান্ত, সোহান, আবির, সাজু, উৎসব, রাজেন, আকাশ প্রমুখ।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধী-মৌলবাদী জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব ও রাসেলের হত্যাকারীদের অনতি বিলম্বে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত,গত রোববার (১মার্চ) খুলনার কয়রা উপজেলার বাইলা হারানিয়া গ্রামের আলিম মাদ্রাসার পাশে বাতিকাটা খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের ঢালাই কাজকে কেন্দ্র করে খুলনার কয়রায় ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামানের উপর হামলা করে। এতে হাদীউজ্জামান রাসেলসহ ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত, রাজু, আব্দুল্লাহ, আবুল হাসান ও সেলিম আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত রাসেলকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে পথিমধ্যে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে রোববার (১ মার্চ) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্লাহ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ছাত্রলীগের হাবিব, রনি, মনু, রায়হান ও রাকিব। এসময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় শিবির কর্মীরা। এতে রাকিব ও রায়হান গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্যরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে রাকিবের মৃত্যু হয়।