চুকনগর বাজারে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রাচীর : ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

0
261

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়ায় চুকনগর বাজারে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে একটি মার্কেটে দোকান ঘরের শার্টার বরাবর অবৈধ প্রাচীর নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ। এতে ওই মার্কেটে থাকা ২০টি দোকানে যাতায়াতে পথ বন্ধ ও দোকানের তালা খুলতে না পারায় দোকানে থাকা ফাষ্ট ফুড, মিষ্টিসহ হাজার হাজার টাকা মূল্যের মালামাল নষ্ট হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ যাবত এমন ঘটনা ঘটায় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় মানবতার জীবন যাপন করছে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। আশু অবৈধ প্রাচীর উচ্ছেদের দাবিতে জমির মালিক জেলা প্রশাসক বরাবর ও দোকানীরা এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। দায়েরকৃত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার মাগুরাঘোনা এলাকার আব্দুল আলিম শেখ ও চুকনগর বাজারস্থ মেসার্স আব্বাস হোটেলের সত্ত্বাধিকারী হালিম মোড়ল, জলিল মোড়ল ও সেলিম মোড়লের সাথে চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডে এক শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে প্রভাবশালী ওই প্রতিপক্ষ জবর দখলের পায়তারা চালাতে থাকে। উপায়ান্ত না পেয়ে দখলীয় মার্কেট মালিক আব্দুল আলিম শেখ আদালতের দ্বারস্থ হলে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ডুমুরিয়া বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নালিশী জমিতে দখল বিষয়ে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের ওই আদেশ উপেক্ষা করে গত ১ অক্টোবর ভোর রাতে প্রতিপক্ষ শতাধিক সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে ফিল্মি ষ্টাইলে পাকা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে।বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষনিক ভাবে কাজ বন্ধ ও দোকানীরা যেন ব্যবসা বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্থ না হন এমন নির্দেশ দেন।কিন্তু দোকানীদের ব্যবসা আজও বন্ধ রেখে ইউএনও’র নির্দেশ নামে মাত্র পালন করে প্রাচীরের কিছু অংশ ভেঙ্গে বহাল তবিয়তে রয়েছে প্রভাবশালী ওই প্রতিপক্ষ।তাহলে প্রতিপক্ষের খুঁটির জোর কোথায় এমন প্রশ্ন বাজারস্থ ব্যবসায়ী মহলে? ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক সরদার অহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে শীঘ্রই এর সমাধান করা হবে। ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, সৃষ্ট সমস্যা নিরসন ও ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় আশু এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।