চুকনগরে হালিমা নার্সিং হোম এ চিকিৎসা নিতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল এক দিনমজুর!

0
512

চুকনগর (খুলনা) প্রতিনিধি: ডুমুরিয়ার চুকনগর হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শনিবারে ভর্তি হয়ে গত সোমবার লাশ হয়ে ফিরে এসেছে বাড়িতে ডুমুরিয়া সদরের বড় বাজারের দিনমজুর আলী বকস্ গাজী (৬০)। নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, গত ৪ই মে শনিবার ডুমুরিয়া সদরের আলী বকস্ গাজীর মূত্রতন্ত্রের চিকিৎসার জন্য উপজেলার চুকনগর হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে জনৈক বরকতুল্লাহ নামক চিকিৎসক দিয়ে মূত্রতন্ত্র কেটে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সোমবার দুপুরের দিকে অবস্থার অবনতি ঘটে। এ সময় সাথে থাকা স্ত্রী হামিদা বেগমকে নার্সিং হোমের পরিচালক মো: কামাল হোসেন জানান রোগীর দু’ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরেও তার উন্নতি না হওয়ায় খুলনায় নিতে হবে। এ সময় রোগীর মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল এবং কথা বলেনি বলে স্ত্রী জানান। সন্ধ্যার দিকে একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে খুলনায় নেওয়ার নাম করে ডুমুরিয়া বড় বাজারের ধানের হাটে মৃতদেহ ফেলে রেখে গাড়িটি দ্রুত চলে যায়। স্থানীয় জনগণ জানতে পেরে রাতেই নার্সিং হোমে গিয়ে পরিচালকের সাথে কথা বলে। পরিচালক জানান চিকিৎসার ত্রুটি ছিল না। তবে হঠাৎ করে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। তার পরিবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। স্ত্রী হামিদা বেগম বড় ছেলে আসাদুল গাজী জানান আমরা গবির মানুষ কি করতি হয় তা জানি নে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে সরকারী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া বলেন রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত না পাওয়ায় পদক্ষেপ পারছি না। তবে দ্রুত নার্সিং হোমটি তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিচালক কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান আমার নার্সিং হোমে এই নামে কোন রোগী ভর্তি হয়নি এবং মারাও যায়নি। তবে নাম না প্রকাশে স্থানীয় অনেকেই জানান, উক্ত নার্সিং হোমের নামে ইতিপূর্বে রোগীর মৃত্যুজনিত কারনে মামলা হয়। এতে পরিচালক একাধীকবার গ্রেফতার হয়েছেন।