চিতলমারীতে গৃহবধু ধর্ষন

0
468

সজল সরকার, খুলনাটাইমস প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাকপুর গ্রামে গোপনে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধুকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের দাউদ ফকিরের ছেলে তরিক ফকির (২০) দীর্ঘদীন যাবৎ রবিউল ফকিরের স্ত্রী আখলিমা বেগম (১৯) কে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আখলিমা বেগমকে নানা রকম ভয়ভিতী দেখাতো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে ধর্ষক তরিক ফকির কথা বলার জন্য বাইরে ডাকে। কথা বলার জন্য বাইরে আসলে গৃহবধুর মুখ বেধে ফাকা জায়গায় নিয়ে তাকে ধর্ষন করে। এরপর মুখ খুলে গেলে সে চিৎকার করে তখন তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন সহ এলাকাবাসী এলে ধর্ষক তরিক পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতা আখলিমা বেগম জানায়, তরিক ফকির তার সম্পর্কে দেবর হয়। মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে আসত এবং তাকে নানা রকম কুপ্রস্তাব দিত। তাতে রাজি না হওয়ায় একদিন গোসল করে কাপড় পাল্টানোর সময় গোপনে কিছু ছবি তোলে। তারপর ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক করতে বলে। তাতে রাজি না হলে বৃহস্পতিবার রাতে ছবি মুছে দেয়ার কথা বলে বাইরে ডাকে ও জোরপূর্বক শারিরিক সম্পর্ক করে। তিনি আরও বলেন তরিকের জন্য আমার সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমি কিভাবে মুখ দেখাবো। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

ধর্ষিতার চাচা শ্বশুর মহিব ফকির ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন কুপ্রস্তাব দেয়ার ব্যাপারটা আমি জানার পর তরিককে আমি বলেছিলাম আমাদের বাড়ি না আসতে এবং এ নিয়ে যেন আর কিছু না হয়। কিন্তু তারপর ও এ অপ্রিতিকর ঘটনা। ঔ রাতের পর থেকে তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।
এবিষয়ে ধর্ষক তরিক ফকিরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পিতা দাউদ ফকিরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে আর কোনো কথা বলতে চায়নি।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার বলেন, এব্যাপারে আমি শুনেছি। কিন্তু এবিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।