চাক‌রি সরকা‌রিকর‌নের দা‌বি‌তে খুলনায় মানববন্ধন

0
415

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা বিভাগের সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দাবিগুলো হলো- কর্মরত কলেজে যোগদানের তারিখ থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা, রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের তারিখ থেকে পে-স্কেল অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদান করা ও ১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরীর শিববাড়ির মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করে খুলনা বিভাগের সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।

এ মানববন্ধনে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি কলেজ থেকে আগত বেসরকারি কর্মচারীরা উপস্থতি হয়ে স্ব স্ব কলেজের ব্যানারে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে সমবেত হন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগের সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি লিটন দত্ত।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক- মো: মুকাব্বের ফকির, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: সোহেল হোসেন, সহ সভাপতি মো: আরিফুর রহমান, প্রচার সম্পাদক- আব্দুল আউয়াল।

বক্তরা বলেন, প্রতিটি কলেজে আমরাই সকাল ৭ টায় গিয়ে কলেজ প্রাঙ্গন, ক্লাসরুম, অফিস, বিভাগ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করি, আমরাই কলেজের তালা খুলি আবার আমরাই বন্ধ করি ও কলেজটিতে রাতজাগা প্রহরী হয়ে দেখাশুনা করছি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে নিরলসভাবে কলেজ প্রশাসনকে সাহায্য করে চলেছি। বর্তমানে প্রতিটি সরকারি কলেজের সরকারি কর্মচারীর চেয়ে বেসরকারি কর্মচারীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশী।  স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত পরিপত্র মোতাবেক প্রয়োজন অনুযায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দান করছে নামমাত্র মজুরিতে (যা স্কেল অনুযায়ী নয়)। আমরা সরকারি কলেজে চাকুরী করি সরকারি সমস্ত দায়িত্ব পালন করি অথচ আমরা বেসরকারি। আমাদেরকে সরকারের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি, বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, ধোলাই ভাতা, টিফিন ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয় না। এ কারণে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। বর্তমান এ দু:মূল্যের বাজারে বাড়ি ভাড়া, সাংসারিক ব্যয়, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যয় ভার বহন করতে পারছি না। আমাদের চলতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা বর্তমানে অনাহারে দিনানিপাত করছি। সরকারি কলেজে আমাদের বেসরকারি চাকুরীকাল কারো ২০ বছর, কারো ১৫ বছর, কারো ১০ বছর অথবা এর কম বা বেশি। আমাদের অনেকেরই বয়স ৩০ এর অধিক। এ জন্য আমাদের বিষয়টি মানবিক কারণে বিবেচনা করে প্রয়োজনে স্ব স্ব সরকারি কলেজে পদ সৃষ্টি করে হোক কিংবা শূণ্য পদে হোক কিংবা ভেটোনারি পদ সৃষ্টি করে হোক আমাদের চাকুরীতে যোগদানের তারিখ হতে রাজস্ব খাতভুক্ত করার জন্য, চাকুরিতে যোগদানের তারিখ হতে পে-স্কেল অনুযায়ী বকেয়া ভাতাদি প্রদান করতে এবং ১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানান বক্তারা।