চরভরাটি জমি দখল সহ নানা প্রতিকূলতায় অস্তিত্ব সংকটে পাইকগাছার বাইশার আবাদ নদী

0
143

শেখ নাদীর শাহ:
নানা প্রতিকূলতায় অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে এক সময়ের খর¯্রােতা পাইকগাছার বাইশার আবাদ নদী। উপজেলার কপিলমুনি ও গদাইপুর ইউপিস্থ নদীটির অবস্থান। নানা প্রতিকূলতায় নাব্যতা হারিয়ে নদীর দু পাশে জেগে ওঠা চর চরভাটি জমির অবৈধ দখল, দীর্ঘদিন খনন না হওয়া সহ নানা প্রতিবন্ধকতায় মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে এক সময়ের খর¯্রােতা বাইশার আবাদ নদী। সরেজমিনে দেখাযায়, নদীটির বর্তমান প্রস্থের তুলনায় নাব্যতা হারিয়ে দু’তীরে জেগে ওঠা চরভাটি জমির পরিমাণ বহুগুন বেশি। চরভাটি জমির নাম মাত্র বন্দোবস্ত ও অবৈধ দখলদারদের কব্জায় থাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে নানা সংকটে আগামী বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে চরম ক্ষতির সম্মূখীন হওয়ার শংকায় রয়েছে স্থানীরা।

স্থানীয়রা জানান, এ নদীটি দিয়েই বাইশার আবাদ, কচুবুনিয়া, ভেটকা, মটবাটী, পরানমালী, নোয়ালতলা, বিরাশিসহ ১০/১২টি মৌজার হাজার হাজার বিঘা জমির পানি সরবরাহ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে পানি সরবরাহেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সর্বশেষ নাব্যতা হারিয়ে ও নানা প্রতিকূলতায় নদীর দু’তীরে জেগে ওঠে চরভরাটি জমির কিছু অংশের বন্দোবস্ত দেওয়ায় অবৈধ দখলদারদের বেশ সুবিধেই হয়েছে। কেননা নাম মাত্র বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি দস্যুরা প্রায় সম্পূর্ণ নদীটিকেই দখল করে নিয়েছে। তারা আরও জানান, এব্যাপারে কতৃপক্ষকে কয়েক দফায় অবহিতর পর ব্যবস্থা গ্রহণের মাঝপথেই তা অজ্ঞাত কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সর্বশেষ আগামী বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি সরবরাহ ও এক সময়ের খর¯্রােতা নদীটির অস্তিত্ব রক্ষায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ পূর্বক নদী খননের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের জরুরী হসÍক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, সঠিক তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

খুলনা টাইমস/এমআইআর