ঘরের মাঠে ১৮ বছরে বায়ার্নের এই প্রথম জয়

0
353

 

টাইমস ডেস্ক
ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে কাল রাতের দুটি ম্যাচই ছিল ‘ডার্বি’ সেটাও আবার এক অর্থে শিরোপা জয়ের লড়াই। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও বায়ার্ন মিউনিখের সামনে সমীকরণটা ছিল এমন। ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে সিটি সেই সমীকরণ মেলাতে না পারলেও ‘বাভারিয়ান ডার্বি’তে বায়ার্ন তা পেরেছে। অগসবুর্গকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টানা ষষ্ঠবারের মতো লিগ জয় নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন।
অথচ মাঠে নেমেই সিটির উল্টো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল ইয়ুপ হেইঙ্কেসের দল। পেপ গার্দিওলার দল ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি। আর বায়ার্ন ঘরের মাঠে ১৮ মিনিটের মধ্যে পিছিয়ে পড়েছিল ০-১ ব্যবধানে। সেটাও নিজেদের ডিফেন্ডার নিকলাস জুলার আত্মঘাতী গোলে। কিন্তু ৩২ মিনিটে তোলিসোর গোলে সমতায় ফেরার পর হামেশ রদ্রিগেজ, আরিয়েন রোবেন ও স্যান্দ্রো ওয়াগনার মিলে আরও তিন গোল এনে দেন বায়ার্নকে।
পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই বুন্দেসলিগা জিতল বায়ার্ন। ২৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭২। তাদের সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় শালকে। বাকি ৫ ম্যাচ জিতলেও বায়ার্নকে ধরতে পারবে না শালকে।
বায়ার্ন কোচ হিসেবের এটা হেইঙ্কেসের চতুর্থ লিগ শিরোপা জয়। ২০১৩ সালে বায়ার্নকে ‘ট্রেবল’ জেতানোর পর অবসরে গিয়েছিলেন হেইঙ্কেস। ৭২ বছর বয়সী এ কোচ অবসর ভেঙে গত অক্টোবরে চতুর্থবারের মতো বায়ার্নের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার পর ৩১ ম্যাচে ২৮ জয় পেয়েছে বাভারিয়ান দলটি।
আশ্চর্যেও ব্যাপার, ২০০০ সালের পর ঘরের মাঠে বায়ার্নেও এটাই প্রথম লিগ শিরোপা জয়। অর্থাৎ গত ১৮ বছরে বায়ার্ন যে ১১ লিগ শিরোপা জিতেছে, তা প্রতিপক্ষের মাঠে জয় কিংবা ড্র দিয়ে। কিন্তু এবার ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় অগসবুর্গকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করল বায়ার্ন। অলিম্পিয়াস্তাদিয়ন ছেড়ে ২০০৫ সালে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় আসার পর স্টেডিয়ামটিতে এটাই প্রথম লিগ জয় বায়ার্নের। সব মিলিয়ে বুন্দেসলিগায় এটা তাদের ২৮তম শিরোপা।
সাফল্য ধরা দিলেও রোবেন-রদ্রিগেজদের হাতে আপাতত লিগ জয়ের উৎসব করার সময় নেই। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল ফিরতি লেগে সেভিয়ার মুখোমুখি হবেন হেইঙ্কেসের শিষ্যরা। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতলেও ফিরতি লেগটা গুরুত্বপূর্ণ বলেই অবিপক্ষে লেভানডফস্কি, মুলার, রিবেরি, হামেলসদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন হেইঙ্কেস। কিন্তু তাতে টানা লিগ শিরোপা জয়ের রেকর্ডটা আরও লম্বা করতে কোনো অসুবিধাই হয়নি রোবেনদের।