গ্রাম আদালতে সুবিচার পেয়ে খুশি প্রতাপনগরের কুদ্দুছ

0
309

আশাশুনি প্রতিনিধি:
গ্রাম আদালতের কাছে অভিযোগ করে স্বল্প সময়ে সুবিচার ও দাবীকৃত ক্ষতিপূরণ হাতে পেয়ে মহা খুশি হয়েছেন প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুদ্দুছ সরদার। সামাজিক পরিবেশ অটুট রেখে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে গ্রাম আদালত শালিসীর মাধ্যমে অভিযোগ ফয়সালা করে থাকে। এমন কথা শুনলেও প্রতাপনগর ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের মৃত মেহের আলি সরদারের পুত্র কুদ্দুছ সরদারের ধারণা ছিলনা যে, অতিরিক্ত সময় ও অর্থ নষ্ট না করে, সম্পর্কের অবনতি ছাড়াই আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে অভিযোগ নিস্পত্তি করা যায়। প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের শালিসী বৈঠকের কথা তার ভালভাবে জানাও ছিলনা। প্রতিবেশী মৃত শহর আলির পুত্র আঃ হামিদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি কদ্দুছের একটি তালগাছ কেটে নেয় নিজের গাছ দাবী করে। কুদ্দুছ তার জমিতে লাগান গাছ হামিদ কেটে নেওয়ায় বিমর্ষ হয়ে পড়েন। তিনি জানতে পারেন গ্রাম আদালতে বিচারের কথা। ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি হামিদের বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন। গ্রাম আদালত যথা নিয়মে আবেদনকারী ও প্রতিবাদী পক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আবেদনকারী পক্ষে মহিলা মেম্বার সুফিয়া খাতুন ও মোকছেদ আলী এবং প্রতিবাদীর পক্ষে মেম্বার আনছার আলি ও মুজিবর রহমান প্রতিনিধি মনোনীত হন। ৩টি ধার্যদিনে প্রতিনিধি নির্বাচন ও উভয় পক্ষের শুনানীসহ শালিসী কার্যক্রম চলে। ৩য় দিনে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে তাল গাছ আবেদনকারীর প্রমানিত হয় এবং কর্তনকৃত গাছের মূল্য ৫ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়। গ্রাম আদালত প্রধান ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন প্রতিবাদী আঃ হামিদকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত কুদ্দুছ সরদারকে প্রদানের জন্য রায় ঘোষণা করেন। শালিসী কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগি ছিলেন গ্রাম আদালত সহকারী রহমত উল্লাহ। গত ৭ মার্চ কুদ্দুছ সরদার তার ক্ষতিপুরন বাবদ ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। কুদ্দুছ সরদার বলেন, এত অল্প সময়ে বাড়তি খরচ খরচা ব্যতীত ন্যায় বিচার পেয়ে আমি খুবই খুশি। ন্যায্য রায় ও রায় বাস্তবায়নে ক্ষতিপূরন প্রাপ্তির ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে গ্রাম আদালতের প্রতি আস্থা বাড়তে শুরু করেছে।