গুনাকরকাটি টু তেঁতুলিয়া সড়কে ভাঙ্গণ

0
228

মইনুল ইসলাম,আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি টু তেঁতুলিয়া কার্পেটিং সড়কে ভাঙ্গণ চললেও প্রতিকারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দু’মাস আগে থেকে ভাংতে থাকা সড়ক নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের ভাঙ্গন রোধে কাউকে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফলে ভাঙ্গণক্রিয়া চলতে থাকায় সড়কটি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। গুনাকরকাটি তথা বাহাদুরপুর গ্রাম হতে গাবতলা হয়ে তেঁতুলিয়া বাজার পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের উপর দিয়ে কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতয়াতের কথা বিবেচনা করে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন শত শত যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। ফলে সড়কটি খুবই ব্যস্ত সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় মৃত নূর আলি গাজী ছেলে ছালেক গাজীর বাড়ির কাছে সড়ক বা বাঁধের ভেতরে ঘোগা (ছিদ্র) হয়ে ২/৩টি স্থান দিয়ে প্রতিনিয়ত বেতনা নদীর লবণ পানি ভিতরে ঢুকছে। একই ভাবে সামান্য দূরে মৃত বাবুরাম পরামান্যের ছেলে মধুসুদন পরামান্যের বাড়ির কাছে ওয়াবদার বাঁধ বা সড়কের মধ্যে বড় ধরনের ঘোগা (ছিদ্র) হয়ে লবণ পানি ভিতরে ঢুকছে। ফলে সড়কের কয়েক হাত কার্পেটিং ও ইট-মাটি ধ্বসে গিয়েছে। ছিন্দ্র দিয়ে সব সময় পানি ভিতরে ঢুকছে। স্থানীয়রা মাটি, বস্তা, গাছের ডাল দিয়ে ছিদ্র (ঘোগা) আটকানোর চেষ্টা করে আসলেও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। গত আড়াই মাস যাবৎ লবণ পানি ভিতরে ঢুকতে থাকায় বাঁধের মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় ধ্বস নেমেছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুতই পুরো সড়ক বা বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। ফলে এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ধানসহ অন্য ফসল ও মাছ, ঘরবাড়ি প্লাবিত হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, সড়কটি এলজিইডির, তারা যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় সেজন্য এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ঘের মালিককে মাটি দিয়ে ঘোগা বন্ধ করার কথা বলেছি। এখনো করেননি। এব্যাপারে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাটির কাজ হয়ে গেছে রাস্তার কার্পেটিং করে দেওয়া হবে।