গবেষণার মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার সম্ভাবনার নতুন দ্বার উম্মোচন করতে হবে : খুবি উপাচার্য

0
396
????????????????????????????????????

খবর বিজ্ঞপ্তি:
বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেকি ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসের ওয়াগিনিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক এশিয়ার যৌথ উদ্যোগে মিডটার্ম রিভিউ ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ ম্যানগ্রোভ পোল্ডারস ফর শ্রিম্প একোয়াটিক প্রোডাক্টিভিটি শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি গবেষণার মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের জন্য গবেষকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি পোল্ডারে ম্যানগ্রোভের সাথে চিংড়ি চাষ নিয়ে চলমান গবেষণার সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগের মৎস্য পরিচালক রণজিৎ কুমার পাল, মৎস্য অধিদপ্তরের চিংড়ি চাষ বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ এবং খুলনা সার্কেলের কনজার্ভেটর অব ফরেস্ট মোঃ মঈন উদ্দিন খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসের ওয়াগিনিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.এডলপ ও. ডিবোর্ট এবং ড. রোলফ গ্রোনিয়েভেল্ড সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। এছাড়া প্রকল্পের পিএইচডি গবেষণা ফেলো মোঃ ইফতেখারুল আলম তার গবেষণাকর্মের বিভিন্নদিক তুলে ধরেন। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পের ফরেস্ট বিষয়ক কনসালটেন্ট প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম জানান উপকূলীয় এলাকায় যে সমস্ত চিংড়ি ঘেরে আমন বা বোরো কোনো প্রকার ধান বা শাক-সবজি হয় না সে সমস্ত ঘেরে ম্যানগ্রোভের সাথে চিংড়ি চাষ করে নতুন একটি সম্ভাবনার বিষয় গবেষণা করা হচ্ছে। মধ্যবর্তী অবস্থায় আমরা এ গবেষণা প্রকল্পের সাফল্যের বিষয় নিয়ে অনেকটা আশাবাদী। এটা উপকূলের মানুষের জন্য নতুন একটি আর্থ-সামাজিক সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে যেখানে উপকূলীয় প্রতিবেশ ও পরিবেশ এবং জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ফরেস্ট, ফিশারিজ বিভাগের কর্মকর্তা এবং গবেষণা প্রকল্প এলাকার মৎস্যচাষী উপস্থিত ছিলেন।